মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ - স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ
মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ এবং স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ, এই বিষয়টি জানুন। এই পোস্টে থাকছে রোজা ভঙ্গের শারীরিক ও ধর্মীয় কারণসমূহ এবং স্বপ্নদোষ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা।
  আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ -
  স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে
  আসি মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ - স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে।
কোন কোন কারণে রোজা নষ্ট হয় লেখো - রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণ
        আজ আমাদের আর্টিকেলের বিষয় হলো মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ - স্বপ্নদোষ কি
        রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে। আমাদের অনেক মহিলারা প্রশ্ন করে থাকেন মেয়েদের
        রোজা ভঙ্গের কারণ - স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে। চলুন জেনে আসি
        মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ - স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে কিছু
        বিস্তারিত।
        যদি কোন ব্যক্তি রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার করেন সেক্ষেত্রে রোজা নষ্ট
        হবে না তবে রোজার স্মরণ ও হওয়া মাত্রই পানাহার ছেড়ে দিতে হবে তার থেকে
        রক্ত বের হয়ে পেটের মধ্যে না গেলে রোজা ভাঙবে না, শামি ৩ থেকে৩৬৭। কোন
        ধরনের খাদ্যদ্রব্য বুট বা ছোলা বা ছোট ও ছোলার কম পরিমাণ যদি দাঁতের সঙ্গে
        লেগে থাকে ও গলার ভেতরে চলে যায় তাহলে রোজা ভাঙবে না।
      
      
        হ্যাঁ দাঁত থেকে বের করে হাতে নিয়ে স্বেচ্ছায় খেলে রোজা নিশ্চিতভাবে ভেঙে
        যাবে। অতিরিক্ত গরম বা পিপাসার কারণে যদি গোসলের মধ্যে শরীরকে ঠান্ডা করে
        তাহলে রোজা আর কোন ক্ষতি হবে না কুলি করার পর পানির অবশিষ্ট আর্দ্রতা থুতুর
        সঙ্গে গিলে ফেললে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। ঘাম অথবা চোখের অশ্রু দু এক
        ফোঁটা যদি অনিচ্ছায় মুখে চলে যায় তাহলে রোজা নষ্ট হবে না।
      
      
      
        আর কানের ময়লা বায়ের করার দাড়াও রোজা ভাঙবে না এছাড়া সারাদিন রোজা
        সঠিকভাবে করার পরেও সন্ধ্যায় ইফতারির সময় আপনি যদি এমন কোন খাবার গ্রহণ
        করেন যেটি ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম তাহলে আপনার রোজাটি মাকরুহ হবে। কোন কারণ
        ছাড়াই কিছু চিবাতে থাকলে রোজা মাকরুহ হবে কোন কিছু সেফ মুখের উপরে রাখলেও
        ছিলেন না তবে রোজা মাকড় হবে। গড়গড়া কুলি করা বা নাকের ভেতর পানির টেনে
        নেওয়ার রোজা মাত্র হয় আর এসব করার সময় পেটে পানি চলে গেলে রোজা ভেঙে
        যায়।
      
    মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ - স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ
      এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো করলে রোজা ভেঙ্গে যায় এগুলো নারী-পুরুষ সবার
      জন্যই প্রযোজ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। যদি কেউ ইচ্ছা করে বমি করে বা
      ভূমির বেশিরভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলে ইসলাম ত্যাগ করলে কান বা নাক দিয়ে
      ঔষধ প্রবেশ করালে রোজাদারকে রোজার করা থেকে বিরত রাখলে বা রোজা অবস্থায় কিছু
      খাওয়ালে রোজা ভেঙে যাবে।
      এছাড়া এমন ধরনের আরো অনেক কারণ রয়েছে যেগুলো ওর ফলে রোজা ভেঙে যায় আবু
      সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে মহানবী হযরত
      মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তিনটি জিনিস রোজা ভাঙ্গনের
      কারণ নয় বমি সিংগা লাগানো ও স্বপ্নদোষ। তিরমিজি হাদিসঃ ৭১৯।
    
    
      উম্মুল মুমিনিন উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে এসেছে তিনি বলেন
      আবু তালহা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর স্ত্রী উম্মে সুলাইম রাদিয়াল্লাহু
      তা'আলা আনহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে আরজ
      করেন হে আল্লাহর রাসূল আল্লাহ তাআলা সত্যের বিষয়ে নিশঙ্কচ।
    
    
    
      তো আমার প্রশ্ন এইটা যে কোন নারীর যদি স্বপ্নদোষ হয় সেক্ষেত্রে তার কি গোসল
      ফরজ হয়ে যায়। উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ
      করেন হে যদি সে পানি দেখতে পায়। সহিহ বুখারিঃ ১/৪২ । এই হাদিস থেকে বোঝা
      যায় যে ছেলেদের মত মেয়েদের ও স্বপ্নদোষ হয় স্বপ্নদোষ হলে ছেলে ও মেয়েরে
      গোসল করা ফরজ হয়ে যায়।
      উপরোক্ত হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে স্বপ্নদোষ মানুষের নিয়ন্ত্রণের
      বাইরের একটা বিষয়। তাই স্বপ্নদোষের কারণে রোজা ভাঙ্গাও হবে না সুতরাং রোজা
      অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভেঙে যায় এ ধারণা সঠিক নয় বলে অনেক হাদিসে
      এসেছে। ফতওয়ায়ে শামি দ্বিতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা নম্বর ৩৬৬।
    
    রোজা ভঙ্গের কারণ হাদিস - রোজা ভঙ্গের কাফফারা
        রোজা থাকা অবস্থায় দুপুরে ঘুমানো নিষেধ নয়। এমনকি ঘুমের ভেতরে স্বপ্নদোষ
        হলে স্বপ্নদোষের কারণেও রোজা ভাঙে না। তবে স্বপ্নদোষের কারণে গোসল ফরজ হয়।
        কিন্তু কেউ কেউ মনে করেন, রোজা অবস্থায় যদি স্বপ্নদোষ হয়, তাহলে রোজা ভেঙে
        যাবে; তাদের এ ধারণা সঠিক নয়। আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু
        হতে বর্ণিত হাদিসে রয়েছে নবী করীম সাঃ বলেন তিনটি জিনিস সোজা ভাঙ্গনের
        কারণ নয় বমি শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।তিরমিজি, হাদিস : ৭১৯।
        অর্থাৎ একটি রোজা যৌতুক ও কারণ ছাড়া ভাঙলে তার জন্য কাজা ও কাফফারা হবে ৬১
        রোজা দুইটি ভাঙলে হবে ৬২ রোজার তিনটি ভাঙলে হবে ৬৩ রোজা কাফফারা সাতটি রোজা
        একত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আদায় করতে হয় কারো যদি কাজা কাফফারা সহ মোট
        ৬১ বা তার বেশি হয় তবে কমপক্ষে ৬১ রোজা একটানা আদায় করতে হবে।
      
    রোজার ফিদিয়া আল কাউসার - শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত আল কাউসার
      আর যদি এমন অসুস্থতা হয় যা সুস্থ হয়ে রোজা রাখার মত অসম্ভববনা আর নেই কম
      থেকে অথবা বার্ধক্য জনিত কারণে রোজা পালনে সম্পূর্ণ অক্ষম হন তাহলে প্রতিদিন
      রোজার জন্য এক ফিতরা পরিমাণ তার ফিদিয়া দিতে হবে। ফিদিয়া হল একজন লোকের
      জন্য একদিনের খাবারের সমান সুরা বাকারার আয়াত নাম্বার ১৮৪ যাকাত টা যাদের
      দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।
    
    
      আরো পড়ুনঃ শাবান মাসের ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন
    
      তাদের উচিত এই রমজান মাসে যাকাত ও ফিতরা দেওয়া এছাড়া যে সকল ব্যক্তি রোজা
      রাখতে পারেন না বিভিন্ন ধরনের যৌক্তিক কারণে তারা যেন রোজাদার ব্যক্তিকে
      ফিদিয়া দেন সে কথায় হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
      বস্তুত হাদিসে পবিত্র কুরআনেরই একটি আয়াত বক্তব্য বিবৃত রয়েছে এরশাদ হয়েছে
      কেউ ও কোন নেক আমল করে তাকে তার দশ গুণ সব প্রদান করা হয় এই মাহে রমজানে।
    
    আধুনিক মাসায়েল আল কাউসার - রোজা না রাখার শাস্তি আল কাউসার
      হাদিসে উল্লেখিত রয়েছে প্রত্যেক সুস্থ মস্তিষ্ক বালেগ মুমিনের জন্য রমজানে
      রোজা পালন করা ফরজ আল্লাহতালা এ বিষয়ে বলেন فمن شهد منكم الشهر فليصمه অর্থ
      তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে সে যেন অবশ্যই রোজা রাখে সূরা বাকারার
      185 নম্বর আয়াত। সাবানের ২৯ তারিখ দিবাগত সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার প্রমাণিত হলে
      এর পরের দিন থেকে রোজা রাখতে হবে নতুবা সাবানের ৩০ দিন পূর্ণ করার পর রোজা
      রাখা শুরু করবে। 
      عن ابن عمر رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه ذكر رمضان، فقال :
      لا تصوموا حتى تروا الهلال، ولا تفطروا حتى تروه. আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ
      বলেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন চাঁদ না দেখা
      পর্যন্ত রোজা রাখবে না এবং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রাখা বন্ধ করবে না সহি
      মুসলিম ১ থেকে ৩৪৭। রমজানের রোজা ইসলামের অন্যতম। ঈমান নামাজ ও যাকাতের পরই
      রোজার স্থান রোজার আরবি শব্দ হল শাওন যার আভিধানিক অর্থ হলো বিরত থাকা।
    
    
      পরিভাষায় সাওম বলা হয় প্রত্যেক সং গানবালেক মুসলমান ও নর-নারীর শুভেসাদিক
      থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল পানাহার থেকে বিরত থাকা রোজা ভঙ্গ হয় এমন কাজ
      থেকে বিরত থাকা এবং স্বামী-স্ত্রীর সহবাস থেকে বিরত থাকা। রমজান মাসের চাঁদ
      উদ্দীভিত হলে প্রত্যেক সুস্থ মুস্তাকিম এর প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং অনেক কার
      আমলধারী ব্যাক্তিদের উপর রমজান আনলে রোজা রাখা ফরজ হয়ে যায় এ সম্পর্কে
      আল্লাহতালা এরশাদ করেন,
    
      يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ
      عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ হে ঈমানদারগণ
      তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের
      উপর যেমন তোমার মুত্তাকী হতে পারো সূরা বাকারার 183 নম্বর আয়াত।
    
  শেষ কথা
    আপনারা যদি মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ - স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ
    সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া
    মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ - স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে জানতে চান
    তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ -
    স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির
    মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে
    আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
  
 

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url