আশুরার ইতিহাস - আশুরার বিশেষ কয়েকটি আমল
    আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করতে চলেছি আশুরার ইতিহাস সম্পর্কে। মহরম
    মাসের দশম দিন অনুষ্ঠিত হয় আশুরা। আশুরা মনে করে দেয় কারবালার প্রান্তরের সেই
    ভয়াবহ হোসাইন ইবনে আলীর পরিবারের মৃত্যুর কথা। আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে
    অনেকেই রয়েছেন যারা আশুরার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য এই পোস্টটি
    লেখা হয়েছে। চলুন বিস্তারিত জেনে আসি আশুরার ইতিহাস সম্পর্কে।
  
  
  ইসলামিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হল আশুরার ইতিহাস। আজকের আলোচনার মূল
  বিষয়বস্তু হলো আশুরার ইতিহাস। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়ার
  চেষ্টা করব আজ আশুরার ইতিহাস সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ আশুরার ইতিহাস - আশুরার বিশেষ কয়েকটি আমল
- আশুরার ইতিহাস
- আশুরার ফজিলত ও আমল
- পবিত্র আশুরায় বর্জনীয় কাজ
- আশুরা দিনটি মুসলিমদের জন্য কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ
- আশুরার রোজা কয়টি
- শেষ কথা
আশুরার ইতিহাস - আশুরার বিশেষ কয়েকটি আমল
      ইসলামী ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হল আশুরা যা মহরম মাসের দশম দিনে
      অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আশুরা হোসাইন ইবনে আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের শহীদ
      হওয়ার কথা বলে দেয় পুরো মুসলিম জাতি এই দিনটি খুবই শ্রদ্ধার সাথে পালন করে
      থাকে।
    
    
    
      হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত মহানবী সাল্লাল্লাহু
      আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন রমজান মাসের রোজার পরে সর্বাধিক ফজিলত পূর্ণ
      রোজার মাস হল আল্লাহর মাস মহরম মাসের রোজা। বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা এসেছে
      মহরম মাসের ১০ তারিখে রোজা রাখা সুন্নত এতে ফজিলত রয়েছে। মহান আল্লাহ
      তায়ালার কাছে এ রোজা খুবই প্রিয়।
    
    
      হযরত আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ
      সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন আশুরার রোজা বিগত বছরের পাপসমূহ
      মোচনের রোজা।
    
    আশুরার ফজিলত ও আমল - আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনা ঘটেছিল
      আশুরা শব্দের মূল অর্থ হলো ১০।  মহররম মাসের ১০ তারিখ আশুরা হিসাবে পুরো
      মুসলিম উম্মাহ এর কাছে পরিচিত। এছাড়া আশুরা তে নভোমন্ডলের প্রাথমিক এই
      বিভাজন প্রক্রিয়া সূচনা ঘটেছিল বলে বিভিন্ন প্রাচীন বই থেকে জানা যায়।
      অপরদিকে হযরত নূহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নৌকা যাত্রা শুরু এবং বন্যার সমাপ্তি
      হয়েছিল এই আশুরা কে কেন্দ্র করে।
    
    
      এছাড়া মহান আল্লাহতালা প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
      ওয়াসাল্লামকে বলেন এন্ড কেয়ামত আশুরার সময় হতে পারে। মহানবী সাল্লাল্লাহু
      আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরা এলেই রোজা রাখতেন। এ ছাড়া আশুরা যে সময় সংঘটিত
      হয়েছিল সে সময় কারবালার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল বলে অনেক পুস্তক থেকে জানা
      যায়।
    
    
    
      এই যুদ্ধের ফলে এ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাতি মোহাম্মদ
      সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবার সদস্য অনেকেই শাহাদাত বরণ করেন।
    
    পবিত্র আশুরায় বর্জনীয় কাজ - মরক্কোবাসী আশুরা কেন পালন করে
      
      পবিত্র আশুরায় বর্জনীয় কাজগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
      
      
        
      
        
      
      
    - পবিত্র আশুরার দিনকে উৎসবের মধ্য দিয়ে পালন না করা।
- আবার শোক দিবসের মতো শোক পালনও না করা।
- আহলে বাইতের কথা মনে করে দুঃখ প্রকাশ করা যাবে না এবং চোখের পানি ফেলা যাবে না।
- এই দিনকে স্মরণ করে কোন কিছু উদযাপন না করা।
      আশুরার দিনে সকল বর্জনীয় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে রোজা পালন করতে
      হবে। মহান আল্লাহতালা আমাদের আশুরার দিন সঠিকভাবে পালন করার তৌফিক দান করুক।
      ইসলামী পঞ্জিকা অনুযায়ী যে চারটি মাস সবচেয়ে বেশি মুসলিমদের কাছে
      গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদা পূর্ণ তার মধ্যে মহরম মাসের ১০ তারিখ অন্যতম।
    
    আশুরা দিনটি মুসলিমদের জন্য কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ - আশুরা ইসলামে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ দিন
      বাংলাদেশি মুসলিমরা এই দিনে রোজা থাকে। এশিয়া মহাদেশের বেশিরভাগ মুসলিম
      দেশগুলোতে এ এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
      এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর পরিবারের যে সকল সদস্য ইন্তেকাল করেছেন
      তাদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করে পুরো মুসলিম উম্মাহ।
    
    
      এই আশুরার দিনে মহান আল্লাহতালা তার কুদরতি শক্তি দ্বারা অলৌকিকভাবে পৃথিবী
      এর অভ্যন্তরীণ সকল কিছু সৃষ্টি করেছিলেন। এই দিনে অনেক মুসলিম মেয়েরা সুন্নত
      নামাজ আদায় করে থাকেন। শুধু তাই নয় মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে তৈরি
      করেছেন এছাড়া মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর পবিত্র কোরআন
      নাযিল করেন। এই দিনটি যেমন ফজিলত পূর্ণ তেমনি শিক্ষনীয় একটি ইসলামিক দিন।
    
    আশুরার রোজা কয়টি - আশুরা কেন বলা হয়
      হিজরী সনের প্রথম মাসের নাম হল মহরম মাস এই মাসের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এই
      মাসকে ঘিরে রয়েছে অনেক ধরনের ইতিহাস ও রহস্য এ ছাড়া এই মাসের ১০ তারিখ
      মুসলিম বিশ্বের এক ঐতিহ্যপূর্ণ এবং পবিত্র দিন রয়েছে। আশুরার দিনে
      সর্বাপেক্ষা আলোচিত এবং বহু প্রচলিত একটি ঘটনা হলো কারবালার সেই মর্মান্তিক
      ইতিহাস এছাড়া আশুরার সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ও স্মরণীয় ঘটনার মধ্যে রয়েছে
      মুসা আলাইহিস সাল্লামের ঘটনা।
    
    
        আরো পড়ুনঃ
          শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে জেনে নিন
    
      মহরম মাসের ১০ তারিখ অত্যাচারী ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন মুসা
      আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মহরম মাসের ১০ তারিখে পবিত্র আশুরা বলে সেই বহু কাল আগ
      থেকে পালন হয়ে আসছে। এছাড়া এই আরবি মহরম মাসের ১০ তারিখে অনেক ইসলামিক
      যুদ্ধ সহ বিভিন্ন ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে বহু পুরনো প্রস্তুত থেকে জানা
      যায়।
    
    শেষ কথাঃ আশুরার ইতিহাস - আশুরার বিশেষ কয়েকটি আমল
      আশা করি আশুরার ইতিহাস এবং আশুরার বিশেষ কয়েকটি আমল সম্পর্কে যথাযথ ধারণা
      প্রদর্শন করতে পেরেছি। আপনারা যারা আশুরার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন
      তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া  আশুরার ইতিহাস এবং
      আশুরা রোজা কয়টি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই
      গুরুত্বপূর্ণ। 
    
    
      আশুরার ইতিহাস সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সেই
      প্রশ্ন করতে পারেন।আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের
      সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
    
   

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url