বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা
    আপনি কি বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান? ডেঙ্গু জ্বর এডিস
    মশার কামড়ের কারণে হয়ে থাকে এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এডিস মশা কামড়ানোর তিন
    থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ শরীরে দেখা দেয়। আমাদের পাঠকদের
    মধ্য থেকে অনেকেই আমাদের প্রশ্ন করে থাকেন বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
    সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
    সম্পর্কে।
  
  
  অনেকেই জানেন না বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে। আজকের আলোচনার মূল
  বিষয় হলো বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে।
  আমাদের পাঠকদের মধ্যে থেকে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
  এবং ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - ডেঙ্গু জ্বর
    ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার গুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো। বর্তমান
    সময়ে মানুষ খুব বেশি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরের উল্লেখযোগ্য
    লক্ষণ গুলো হলঃ সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে ১০১ ডিগ্রি থেকে 103 ডিগ্রি
    তাপমাত্রা হতে পারে শরীরের। ডেঙ্গু জ্বর শরীরে প্রবেশ করলে শরীর প্রচন্ড
    পরিমাণে ব্যথা হয় এছাড়া জ্বর ছুটে গিয়ে পুনরায় শরীরে জ্বর আসতে পারে। শরীরে
    ডেঙ্গু জ্বর বাসা বাঁধলে প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ব্যথার সৃষ্টি হয় এছাড়া
    চামড়াতে লাল দাগ বা রেস বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  
  
    আরো পড়ুনঃ
    এইডস কিভাবে হয় এ সম্পর্কে জেনে নিন
  
    সিবিআর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে প্রচন্ড পেটব্যথা করতে পারে। এছাড়া শরীর
    ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে মনে হতে পারে। অপরদিকে ক্ষুধা মন্দার সৃষ্টি হতে পারে এবং
    শরীরে অলসতা লক্ষণীয় হতে পারে। এছাড়া ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম
    কিছু হলো পেট ফুলে যেতে পারে রক্ত বমি হতে পারে। মাড়ি থেকে রক্ত ক্ষরণ হতে
    পারে প্রচন্ড পরিমাণে।
  
  
    এছাড়া ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হতে পারে শ্বাসকার্য দ্রুত হওয়া, শরীরের ঠান্ডা
    অনুভব করা, ঘাম হওয়া, দ্রুত হার্ট বিট কম বেশি হওয়া ইত্যাদি। ডেঙ্গু জ্বরে
    আক্রান্ত হলে শরীরের পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এছাড়া হার্টবিট অনেকটা বেড়ে যায়
    এবং শরীরে রক্তচাপ কমে যায় বা রক্ত শীতল হয়ে যায়। শ্বাস প্রশ্বাস খুব দ্রুত
    হয়ে পড়ে এবং শরীরে অস্বস্তি সৃষ্টি হয় শরীর ঠান্ডা হয়ে যেতে শুরু করে এই
    সময় দ্রুত হাসপাতালে রোগীকে নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হবে।
  
  
    গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশের ৬ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
    ক্রমাগত ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক আকার ধারণ করছে। ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা হলঃ
    ডেঙ্গু জ্বর হলে চিকিৎসকেরা শুধুমাত্র প্যারাসিটামল নাপা বা এই গ্রুপের ঔষধ
    সেবন করার পরামর্শ দেন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে শরীর প্রচন্ড ব্যথা হয় এই
    জন্য অনেকে ব্যাথা নাশক ঔষধ সেবন করেন।
  
  
    এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
    ডেঙ্গু জ্বর অবস্থায় ব্যথা নাশক ঔষধ সেবন করলে শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণের
    মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যা পরবর্তীতে মৃত্যুর কারণও হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর হলে চিকিৎসকেরা প্রচুর পরিমাণে তরল পদার্থ গ্রহণ করা পরামর্শ
      দিয়ে থাকেন।
  
  
  
    কারণ ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরের নব্বই শতাংশ পানি শুকিয়ে দেয় এই ভাইরাস যার
      ফলে শরীর পানিশূন্যতা দেখা দেয়। ডেঙ্গু জ্বর হলে যে সকল তরল পদার্থ গ্রহণ
      করতে বলেন চিকিৎসকেরা তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলঃ  ভাতের মাড়, ডাবের
      জল , স্যালাইন, ফলের রস, লেবু পানি ইত্যাদি। সাধারণ জ্বর শরীরে প্রবেশ করলে
      শরীর অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে আর যদি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে
      শরীরের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায়।
  
  
    এসময় প্রচুর পরিমাণে শরীরে প্রোটিনযুক্ত খাদ্য প্রবেশ করাতে হবে এর মধ্যে
      উল্লেখযোগ্য হল ডাল , মাছ , মাছের ডিম , মুরগির ডিম , মুরগির মাংস, গরুর
      মাংস , বিভিন্ন ধরনের ইত্যাদি। ডেঙ্গুজ্বরে রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে কী খাবেন?শরীরে ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস প্রবেশ করার পর থেকেই শরীরের প্লাটিলেট কমতে
      থাকে।
  
  
    এমন কিছু খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এ সময় যেন শরীরে প্লাটিলেট পুনরায় উৎপন্ন
      হয়। প্লাটিলেট উৎপন্নকারী খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলোঃ কাঠবাদাম,
      দই, গ্রিন টি, ক্যাপসিকাম, ব্লকলি, পালং শাক, আদা, রসুন,হলুদ
      ইত্যাদি। যে সকল ফলে ভিটামিন সি রয়েছে সে সকল ফল এ সময় গ্রহণ করা যেতে পারে কারণ
      ভিটামিন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  
  
    রক্তের প্লাটিলের বৃদ্ধি করতে নিম পাতার জুড়ি মেলা ভার কারণ এটি শরীরের রোগ
      প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রক্তের শ্বেত কণিকার সংখ্যা বাড়ায় এবং রক্তের
      প্ল্যাটিলেট বাড়িয়ে তোলে। ডেঙ্গুর লক্ষণ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
      লক্ষণ হলো জ্বর আসা এ সময় শরীরের তাপমাত্রা 99 ডিগ্রী থেকে ১০৬ ডিগ্রি হতে
      পারে।
  
  
    জর টানাও থাকতে পারে আবার ঘাম হয়ে জ্বর ছেড়ে যেতে পারে আবার একটু পরে আসতে
      পারে । এক্ষেত্রে শরীর ব্যথা হতে পারে এবং চোখের পিছনে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা
      রয়েছে। ডেঙ্গুর ভাইরা যদি শরীরে প্রবেশ করে সেক্ষেত্রে আমাদের খাদ্য অভ্যাসে
      পরিবর্তন আনতে হবে কিছু যেমনঃ দুগ্ধ জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করতে হবে , মাছ
      , মাংস , ডাল , ডিম এবং বাদাম ইত্যাদি প্রতিদিনের খাবারে থাকা জরুরী।
  
  
  
    এছাড়া চলুন জেনে আসি ডেঙ্গু হলে কি কি খাবার খেতে হয়। প্রাকৃতিকভাবে
      ডেঙ্গু জ্বর ভালো করার জন্য এবং শরীরে প্লাটিলের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য
      পেঁপে পাতার রস খেতে হবে এটি তেতো লাগলেও এর রসে রয়েছে ডেঙ্গুর সঙ্গে
      মোকাবেলা করার শক্তি।
  
শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৩
    অনেকেই জানেন না শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। বর্তমান সময়
    শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ডেঙ্গু রোগে। বিশেষ কিছু মাধ্যম অবলম্বনের ফলে
    শিশুদের এ রোগ থেকে দূরে রাখা সম্ভব। ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে
    প্রথমত চার থেকে সাত দিনের মধ্যেই শরীরে এর উপসর্গ বোঝা যায় এর সাথে হঠাৎ উচ্চ
    মাত্রায় জ্বর সঙ্গে বমি ফুসকুড়ি এর মত সমস্যার সৃষ্টি হয়।
  
  
    এ ভাইরাস শরীরের প্রবেশ করার প্রথম দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত এর মধ্যেই শরীরে
    হাম এর মতো সৃষ্টি হয় এর সঙ্গে শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা
    হয়। ডেঙ্গু রোগের বিশেষ কিছু বিপদজনক লক্ষণও রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
    কিছু লক্ষণ হলোঃ পেটে ব্যথা করা , অতিরিক্ত হারে বমি হওয়া , শরীরে
    পানি জমা , নাক ও মাড়ি দিয়ে অতিরিক্ত রক্ত বের হওয়া , শরীর দুর্বল হয়ে
    যাওয়া , শরীরে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি।
  
  
    পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে এ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের অনুচক্রিকা
    অধিক হারে কমতে শুরু করে। শিশুর ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার হলঃ ডাক্তারের পরামর্শ
    অনুযায়ী ঔষধ সেবন করাতে হবে শিশুকে । এ সময় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল
    প্রবেশ করাতে হবে। ভিটামিন সি যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে ভিটামিন সিএ রয়েছে
    এমন কিছু গুণ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  
ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে - ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় কি
  এখন আমরা আলোচনা করতে চলেছি ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়
  কি এ বিষয়ে। সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর তিন থেকে ছয় দিন পর্যন্ত স্থায়িত্ব নিয়ে
  শরীরে থাকতে পারে এছাড়া জর ভালো হওয়ার 48 থেকে 72 ঘন্টাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা
  হয় সংকটকাল। ডেঙ্গু রোগ উপশমের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন এর সাইড
  ইফেক্ট এই সময় হতে পারে এছাড়া শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এ সময়।
  সি টাইপ ডেঙ্গু জ্বর সবচেয়ে খারাপ হিসাবে বিবেচিত কারণ এটি শরীরে প্রবেশ করলে
  কিডনি মস্তিষ্ক লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক আংশে। এই ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস যদি
  শরীরে প্রবেশ করে সেক্ষেত্রে অনেক সময় রোগীকে আই সি ইউ তে ভর্তি করতে হতে পারে।
  ডেঙ্গুজ্বর হলে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে তরল খাদ্য গ্রহণ
  করতে হবে।
  যেমন ডাবের পানির, লেবুর জল, ফলে রস , খাবার স্যালাইন ইত্যাদি। ডেঙ্গু জ্বর হলে
  প্যারাসিটামল বা নাপা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। একজন স্বাভাবিক
  প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন সর্বোচ্চ আটটি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। কিন্তু
  ডেঙ্গুজরে আক্রান্ত রোগীর লিভার হার্ড কিডনি সংক্রান্ত যদি কোন রোগ শরীরে থাকে
  সেক্ষেত্রে প্যারাসিটামল সেবনের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 
  ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে শরীর প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা করে। এই ব্যথা উপশমের জন্য
  অ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন জাতীয় কোন ধরনের ঔষধ সেবন করা যাবে না।
  ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত থাকাকালীন এর ধরনের ঔষধ সেবন করলে ইন্টারনাল ব্লিডিং বা
  শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্ত ক্ষরণ বাড়তে পারে। অনেকেই মনে করেন ডেঙ্গু জ্বর হলে
  প্ল্যাটিলেট শরীর থেকে কমে যায়।
  কিন্তু বর্তমানে প্লাটিলেট শরীর থেকে কমে গেলে ফ্রেশ রক্ত শরীরে প্রবেশ করানো
  যেতে পারে। শরীর থেকে যখন ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস কমতে থাকে বা জ্বর ভালো হয়ে যায়
  তখন থেকে শরীরে প্লাটিলেট উৎপন্ন হতে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় জ্বরের শেষের
  দিকে রক্তচাপ অনেকটা কমে যায় মাড়ি নখ মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত শুরু হয় এ সময়
  দ্রুত হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করতে হবে এবং প্রয়োজনে স্যালাইন দিতে হতে পারে
  রোগীর শরীরে।
ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার - ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে
  আপনি কি জানেন ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে এ
  সম্পর্কে? ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে কেমন চিকিৎসা নেবেন বাসায় থেকে চিকিৎসা
  নেবেন কি হসপিটালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেবেন এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে ডেঙ্গু
  জ্বরের ওপর। ডেঙ্গুজর সাধারণত তিন ধরনের যথাঃএ , বি , সি। এ ক্যাটাগরিতে যে সকল
  ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা থাকেন তাদের জ্বর স্বাভাবিক থাকে এবং তাদের
  হসপিটালে ভর্তি করার কোন প্রয়োজন নেই।
  এ সকল রোগীরা সঠিক ঔষধ খাদ্য এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম করলে সুস্থ হয়ে
  ওঠেন। মনে রাখতে হবে আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলোর মধ্যে
  দুইটি হলো প্ল্যাটিলেট ও হিমোগ্লোবিন যা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে
  অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখতে এবং প্ল্যাটিলেট
  পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি করতে প্রচুর আয়রনের প্রয়োজন হয়।
  আয়রন যুক্ত খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ  মিষ্টিকুমড়ার বিচি,  বিট
  জুস, খেজুর, কিশমিশ,কলিজা,  জলপাইডিম, ডালিম,, সবুজ শাকসবজি নিয়মিত সেবনে
  প্লাটিলেট ও হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে শরীরে।
বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা
    বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত
    জেনে আসি। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে কিছু কিছু লক্ষণ রয়েছে যা খুবই বিপদজনক।
    বিপদজনক লক্ষণ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ প্রচন্ড পরিমাণে পেটে ব্যথা করা,
    শরীরে পানি জমা, অনবরত বমি বমি ভাব হওয়া , নাক ও মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া,
    শরীরে অতিরিক্ত ব্যথা সৃষ্টি হওয়া এবং দুর্বল বোধ করা, রক্তের অনুচক্রিকা
    দ্রুত কমতে থাকা।
  
  
    ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরে পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে এ জ্বর মারাত্মক
    আকার ধারণ করতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু লক্ষণ হলো শরীরের বিভিন্ন অংশ
    দিয়ে অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়া, অচেতন হয়ে পড়া, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া ,
    রক্তচাপ কমে আসা ইত্যাদি। ডেঙ্গু জ্বর হলে পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে এবং
    তরল খাদ্য প্রবেশ করাতে হবে।
  
  
  
    শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে জ্বর আরো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে এই জন্য একবারে
    না হলেও অল্প অল্প করে খাদ্য গ্রহণ করতে থাকতে হবে। ডাক্তাররা জ্বর কমানোর জন্য
    প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেন। যদি খুব মারাত্মক আকার ধারণ করে সে ক্ষেত্রে
    রোগীকে রক্ত ও স্যালাইন দিতে হতে পারে।
  
শেষ কথাঃ বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা
    আশা করি আর্টিকেলের মাধ্যমে বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে যথাযথ
    ধারণা প্রদর্শন করতে পেরেছি। আপনারা যারা বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ 
    সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।
    এছাড়া  বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই
    আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
  
  
    বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের
    মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন।আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে
    আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
  
 

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url