কলার খোসার উপকারিতা - কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা
আজ আমরা জেনে নিব কলার খোসার উপকারিতা এবং কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে।কলার খোসা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটা জিনিস। আমাদের অনেকে কমেন্টের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করে কলার খোসার উপকারিতা এই ভিটামিন গুলোর জন্য আমাদের মুখে বা শরীরে পুরনো ব্রণের দাগগুলো কমাতে সাহায্য করে।আবার কলার খোসার উপকারিতা হল এটি ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তারমানে কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা যায়।
  আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে  কলার খোসার উপকারিতা - কলার
  খোসা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি কলার
  খোসার উপকারিতা -  কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ কলার খোসার উপকারিতা - কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা
- চুলের যত্নে কলার খোসা - কলার খোসার উপকারিতা
- কলার খোসার সার - চুলের যত্নে ডিম ও কলা
- কলা দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায় - কলা দিয়ে মুখ ফর্সা
- পাকা কলার ফেসপ্যাক - ত্বকের জন্য কলার উপকারিতা
- কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা
চুলের যত্নে কলার খোসা - কলার খোসার উপকারিতা
চুলের যত্নের জন্য আমরা বেশির ভাগই চেষ্টা করব প্রাকৃতিক উপাদান গুলো নিয়ে কাজ করার তাহলে আমাদের চুলগুলো ভালো থাকবে এবং সতেজ থাকবে। এই পৃথিবীতে প্রাকৃতিক উপাদান গুলোর উপরে কোন কিছুই নেই। তাই আসুন আমরা জেনে নেই চুলের যত্নে কলার খোসা - কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কলার খোসা চুলের জন্য ব্যবহার করতে পারি। এর পাশাপাশি কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা হয়।
  কলার খোসাতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার চুলকে নরম বা
  সিল্কি করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে এবং চুলকে
    শক্ত করতে সাহায্য করে। যার একটি অত্যন্ত ভালো উপাদান আমাদের
    চুলের জন্য।
কলার খোসার সার - চুলের যত্নে ডিম ও কলা
      কলা অনেক উপকারিতা আছে তারমধ্যে কলার খোসার উপকারিতা অন্যতম।প্রথমে
      আমরা জেনে নিব কলার খোসার সার  উপকারিতা এবং পদ্ধতি গুলো সম্পর্ক।
      প্রথমে আমরা কলাটি থেকে খোসা ছাড়িয়ে নেব এবং খোসা গুলো সুন্দর ভাবে শুকিয়ে
      নিব। এগুলোকে যেকোনো ফুল গাছের নিচে এক ইঞ্চি করে গর্ত করে পুঁতে দিব। এগুলো
      অ্যাফিড নামের ক্ষুদ্র পোকাগুলোকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে। ফুল গাছ গুলোতে
      গাছের পটাশিয়ামের  অভাব পুরন করে থাকবে। 
    
    
      আমরা যে কোন ফুল গাছের টবে মাটি খুঁড়ে দুটি কলার খোসা পুঁতে দিব যাতে করে এটি
      মাটির সঙ্গে মিশে যাবে।তাহলে ফুলগুলো বড় হবে এবং দ্বিগুণ
      শোভা ছড়াবে।এটা শুধু ফুলগাছি নয় অন্যান্য  সবজির ক্ষেত্রে কলার
      খোসা সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।সাধারণত আমরা যেভাবে চা পাতি পচিয়ে গাছের
      গোড়ায় দিলে গাছ পুষ্টি পেয়ে থাকে, ঠিক একইভাবে ব্যবহার করুন কলার খোসা
      পচানোর জন্য একটি পাত্রে পানি ভরে তাতে কলার খোসা ভিজিয়ে দিন। 
      এভাবে ২-৩ দিন রেখে দিন। ২-৩ দিন পর পানি থেকে খোসাটা ফেলে
      দিয়ে পানিটা ফুল গাছে বা সবজির গাছে বা যেকোনো গাছে দিতে
      পারেন।প্রতিনিয়ত আপনারা যেভাবে গাছে পানি  দেন, ঠিক
      একইভাবে ব্যবহার করুন এই পানিটি।
    
    
      কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা হয়। তবে এবার আমরা জেনে নিব চুলের যত্নে ডিম ও
      কলা ব্যবহার করা সম্পর্কে। বিবর্ণ ও রুক্ষ চুলের জন্য এটি খুবই কার্যকর একটি
      জিনিস। আপনারা হেয়ার প্যাক এর জন্য ২-১টি ডিমের সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ দুধ, ১টি
      কলা, ৩ টেবিল চামচ মধু এবং ৫ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন।
      মিশ্রণটি আপনার মাথার চুলে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট বা ১ ঘণ্টা পর
      শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনারা সাধারণত চুলের যত্নে ডিম ও কলার এই
      পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারেন।
    
  কলা দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায় - কলা দিয়ে মুখ ফর্সা
    আমরা জানি কলা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। এছাড়াও
    ত্বকের যত্নে কলা ও কলার খোসা ব্যবহার করে থাকে এবং চুলের যত্নে কলার খোসা
    ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমরা জেনে নিব কলা দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায়।
    এই চুলে সমস্যাটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। আপনারা যারা চুল দ্রুত সময়ের মধ্যে
    সিল্কি এবং ঘন করে তুলতে চান তারা কলা ব্যবহার করতে পারেন। কলার খোসা টি দিয়ে
    আপনার ঘরে বসেই একটি প্যাক তৈরি করে চুল সিল্কি করতে পারেন। 
  
  
    এছাড়া আপনারা যদি চুলের অন্য কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেগুলোর জন্য আপনারা এই
    প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। চুল খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শক্তিশালী, মজবুত
    এবং সিল্কি করতে চাইলে আপনারা এই প্যাক টি ব্যবহার করতে পারেন। এর
    কার্যকরিতা অনেক বেশি। এটি কলা এবং মধুর মিশ্রণ দিয়ে তৈরি করা একটি প্যাক।
    প্রথমে একটি কলা নিয়ে নিবেন এবং কলাটি সুন্দর করে ধুয়ে নিয়ে একটি পাত্রে রেখে
    দিন।
    যদি কলাটির সাইজ বড় হয়ে থাকে তাহলে এটি অর্ধেক নিলে ভালো হবে। এরপরে
    কলাটির সাথে ২ চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। দুইটি উপাদানই সুন্দরভাবে
    মিশ্রন করে নিতে হবে।উপাদান দুটি ভালোভাবে মিশ্রণ করা হয়ে গেলে এটি চুলের আগা
    এবং গোড়া পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে হবে। এইভাবে ৫-৭ মিনিট চুলে
    ম্যাসাজ করতে হবে। 
  
  
    এরপর মিশ্রণটি চুলে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল
    সুন্দর ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। যারা চুলের পিছে হাজার হাজার টাকা খরচা করেন তারা
    খুব অল্প সময়ে এবং কম খরচের মধ্যে চুল সিল্কি করে তুলতে পারেন। এবং আপনারা এই
    প্যাকটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। 
  
  
    এবার আমরা জেনে নিব কলা দিয়ে মুখ ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে।  একটি
    কলার অর্ধেক নিব ও এক চা-চামচ মধু এবং এক চা-চামচ কমলার রস ভালো করে মিশিয়ে
    নিব। এই প্যাক-টি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করুন। ১৫-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে
    ফেলুন। তাৎক্ষণিক ত্বকের পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এইভাবে আপনারা ঘরে বসেই
    স্বল্পমূল্যে একটি প্যাক তৈরি করে ফেলতে পারবেন।
  
  পাকা কলার ফেসপ্যাক - ত্বকের জন্য কলার উপকারিতা
    আসুন আমরা জেনে আসিপাকা কলার ফেসপ্যাক কিভাবে তৈরি করতে হয়। প্রথমে একটি পাকা
    কলা নেই এরপর এক টেবিল চামচ মধু নেই ও এক টেবিল চামচ লেবুর রস নেই এবার সব
    উপাদান গুলোকে ভালোভাবে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। এরপর প্যাক-টি ভালো
    করে মুখে লাগিয়ে নিবেন। ১০-১৫ মিনিট পর প্যাকটি শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি
    দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দেখুন পাকা কলার ফেসপ্যাক এর কামাল।
    এবার আমরা জেনে নিব ত্বকের জন্য কলার উপকারিতা সম্পর্কে। কলার খোসা তে আছে
    অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ত্বকের জন্য উপকারী। ব্রণের উপর কলার খোসায় সাদা অংশ
    বাদামি হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ঘষতে হবে। কলা চোখের নিচে লাগিয়ে
    রাখলে চোখের কালো দাগ গুলো সহজে ভালো হয়ে যায়। আবার ত্বক
    ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে
  
  কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা
    কলার খোসার নানান রকম পুষ্টি বিষয়ে সবাই জানেন, কিন্তু কলার খোসার কাজ
    সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না, আমরা আবার খোসাটি ফেলে দিই। এটি আসলে ফেলানোর
    জিনিস নয়। বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারে কলার খোসা গুলো। বিশেষ করে রূপচর্চায় এটি
    খুব মূল্যবান। আসুন তাহলে জেনে নিই কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা
    ব্যাবহার সম্পর্কে।
  
  
      ব্রণ দূর করতে: ব্রণকে তাত্ক্ষণিকভাবে দূর করতে সাহায্য করে এই কলার
      খোসা গুলো। কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে ব্রণের ওপর কিছুক্ষণ ঘষতে থাকতে
      হবে। কিছুক্ষণ পর দেখবেন ব্রণ গুলো কোথায় হারিয়ে গেছে।
      পোকামাকড়ের কামড়: মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ের ফলে আমাদের শরীরে এক ধরনের
      চুলকানি হয়। কলার খোসার ভেতরের দিকটা আক্রান্ত স্থানেটি ঘষুতে থাকুন।
      কিছুক্ষণ পর চুলকানি একদমই কমে গেছে।
    
    
      দাঁত সাদা করতে: প্রথমে কলা থেকে কলার খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং কলার
      খোসার ভেতরের অংশটি দাঁতের 2 মিনিট ধরে খুঁজতে থাকুন। এরপর ৪-৫ মিনিট অপেক্ষা
      করে, নিয়মিত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে ফেলুন। মাত্র ৭ দিনে প্রতিনিয়ত এইভাবে
      দাঁত মাজলেই হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা আপনাদেরও।
    
    
      মসৃণ ত্বকের জন্য: মুখমণ্ডল যদি শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়, তবে কলার
      খোসার ভেতরের অংশ মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণের জন্য। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে
      ফেলুন। এর পরে দেখবেন ত্বক মসৃণ ও মোলায়েম হয়ে গেছে।
    
    শেষ কথা,
        আপনারা কলার খোসার উপকারিতা - কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে
        জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে।এছাড়া আপনার
        যদি কলার খোসার উপকারিতা - কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা জানতে চান তাহলে
        এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং কোন সমস্যা হলে কমেন্টে
        জানাতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই
        থাকুন ধন্যবাদ।
      
     

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url