কলার উপকারিতা ও অপকারিতা - সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
  আজ আমরা জানবো কলার উপকারিতা ও অপকারিতা - সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
  সম্পর্কে।কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে যা সোডিয়াম এর নেতিবাচক প্রভাব
  এর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। আমাদের কাছে অনেকে জানতে চানকলার উপকারিতা ও
  অপকারিতা - সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক করার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। চলুন জেনে নেওয়া
  যাককলার উপকারিতা ও অপকারিতা - সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
  
  আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে কলার উপকারিতা ও অপকারিতা - সকালে
  কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি কলার
  উপকারিতা ও অপকারিতা - সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা - সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
- নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা - চুলের যত্নে কলার খোসা
- পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা - কলা দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায়
- সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা - কলার খোসা দিয়ে দাঁত পরিস্কার
- কলার খোসার উপকারিতা - কলার খোসা দিয়ে সার তৈরি
- কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা - কলার খোসার প্যাক
- কলার উপকারিতা ও অপকারিতা - সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা - চুলের যত্নে কলার খোসা
  আমাদের শরীরে কলার উপকারিতা অনেক। কলার উপকারিতা অনেক এজন্য বলা হয় কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন বিদ্যমান থাকে। একটি রিসার্চে দেখা গেছে কলা পটাশিয়ামের একটি সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উৎস যা সোডিয়াম
  এর নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে কাজ করে। আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় যদি
  পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা যায় তাহলে হৃদযন্ত্রের সমস্যা রক্তচাপ
  নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি থাকে। হলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক শতাংশ কমে
  যায়। কলার খোসায় এমন কিছু বিশেষ উপাদান রয়েছে যা চুলের যত্নে অনেক কার্যকরী
  ভূমিকা রাখে।
  আরো পড়ুনঃ
    ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
  এছাড়া কলার খোসায় রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার চুলকে নরম উজ্জ্বল এবং খুশকি
  মুক্ত করবে। এছাড়া কলার খোসার পেস্ট নিয়মিত চুলের ব্যবহারে এটি চুলকে শক্তিশালী
  মজবুত ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। এছাড়া প্রাকৃতিক ভাবে দাঁতকে ঝকঝকে সাদা করতে
  কলার খোসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি রেমেডি।
পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা - কলা দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায়
  পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক চিনি বিদ্যমান থাকে যা শরীরকে এনার্জি যোগায়।ডক্টর সুবর্ণা বলেন ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রোগীদের আমরা কোন ফল খেতে বারণ করি
  না শুধুমাত্র পরিমিতভাবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকে ফল গ্রহণ করতে বলি কলাও তার
  ব্যতিক্রম কোন ফল নয়। একজন রোগী যখন ডায়েটে থাকে তখন তিনি যদি 100 থেকে 150
  গ্রাম ফল গ্রহণ করেন তার অর্থ তিনি একটি কলা গ্রহণ করেছেন এখানে পটাশিয়ামের
  পরিমাণ কে নির্দেশ করা হয়েছে। যারা কোষ্ঠ কাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন অনেকদিন থেকে
  তাদের নিয়মিত পাকা কলা গ্রহণ করা উচিত।
  এতে ফাইবার থাকায় পেট পরিষ্কার হয় খুব সহজে আর ফাইবার পেট পরিষ্কার করতে
  বিশেষভাবে কার্যকর ভূমিকা প্রদান করে আর পায়ের পেশির শক্তি বৃদ্ধি করে। অপরদিকে
  যদি পেটে কোন সমস্যা পেটের পীড়া বা পেট খারাপ হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে কাঁচা কলা
  খেলে এটি ভালো হয়ে যাবে। কলায় রয়েছে পটাশিয়াম মিনারেল ভিটামিন সি ইত্যাদিতে
  পরিপূর্ণ। এছাড়া শুধুমাত্র আমাদের শরীরের জন্য না পাকা কলা চুলের জন্য একটি
  গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
  পাকা কলা মধু টকদই এই তিনটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন যা
  চুলে ব্যবহার করলে চুল হয়ে উঠবে কাল ঝলমলে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।এছাড়া পাকা কলার
  পেস্ট চুলে ব্যাবহার করলে এটি চুলের রুক্ষতা কে অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। এছাড়া মধু
  টক দই চুল সিল্কি করতে সাহায্য করে থাকে। তবে অবশ্যই কোনভাবেই চুলে মিষ্টি দই
  ব্যবহার করা যাবে না এতে চুলের ক্ষতি হতে পারে আপনি চাইলে ঘরে বসেই টকদই বিভিন্ন
  উপকরণের মাধ্যমে তৈরি করে এটি চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
  আরো পড়ুনঃ
  স্বপ্নদোষ কেন হয় এ সম্পর্কে জেনে নিন
  আমরা যেভাবে চুলের জন্য পাকা কলার রেমিডি তৈরি করব বিস্তারিত নিচে দেওয়া
  হলঃসর্বপ্রথম আমাদের তিনটি উপকরণ লাগবে তার মধ্যে একটি হলো একটি বড় পাকা কলা মধু
  ও টক দই।স্যার প্রথমে একটি পাকা কলা নিন এরপরে এটি ভালো ভাবে চটকে পেস্টের মতো
  তৈরি করে নিন।এর সঙ্গে দুই চা চামচ মধু 3 থেকে 4 চা চামচ টক দই একসঙ্গে ভালো করে
  মিক্স করে নিতে হবে।এই মিশ্রণটি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে নিতে হবে যেন কোন অংশ বাদ
  না পড়ে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
  এরপরে 30 থেকে 40 মিনিট অপেক্ষা করতে হবে যেন ভালোভাবে প্রেমীদের উপকরণগুলো চুলা
  জব করতে পারে।এই প্যাকটি যদি নিয়মিত আপনি ব্যবহার করেন সপ্তাহে এক থেকে দুইবার
  তাহলে আপনি নিজেই নিজের চুলের পরিবর্তন বুঝতে পারবেন। এই প্যাক ব্যবহারে আপনার
  চুল হবে ঘন ও মজবুত হবে শক্ত এবং প্রতিনিয়ত চুল বাড়তে থাকবে অনেকের চুল লম্বা
  করার কাজেও এটি ব্যবহার করে থাকে।
সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা - কলার খোসা দিয়ে দাঁত পরিস্কার
  সাগর কলার উপকারিতা অনেক এটি একটি রিসার্চ দেখা গেছে।যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে সাগর কলার উপকারিতা অনেক। এটি প্রমাণিত হয়েছে যে সাগর কলা
  মানব শরীরের যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে বিশেষ ভাবে ভূমিকা রাখে। কারণ সাগর কলার পুষ্টি
  উপাদান শুক্রাণু খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। তাই একটি খাদ্যতালিকায় সাগর কলা
  স্থান সবার উপরে থাকা উচিত। একটি রিসার্চে দেখা গেছে যে সাগর কলা নিয়মিতভাবে
  গ্রহণ করলে এটি শুক্রাণু বৃদ্ধিতে বিশেষ কার্যকর ভূমিকা রাখে এটি প্রত্যক্ষভাবে
  যৌন উদ্দীপনায় সাহায্য করে থাকে।
  এছাড়া শুধুমাত্র কলা খেলে যে আমাদের শরীরে পুষ্টি আসে তা কিন্তু নয় কলার খোসায়
  রয়েছে প্রচুর গুনাগুন প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কলার খোসার ভেতরের সাদা
  অংশ দিয়ে ঘর সাজায় তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যাবে যে দাঁত কাঁচের মতো ঝকঝকে
  হয়ে গেছে। এরপরে টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজতে হবে। এমনভাবে যদি সপ্তাহ খানেক এই
  প্রক্রিয়া চালানো যায় দাঁতের উপর সে ক্ষেত্রে দাঁত অনেক সুন্দর হয়ে ওঠে।
  দাঁতকে মজবুত রাখার জন্য কলার খোসা বেটে তারমধ্যে মধু মিশিয়ে দাঁতে ঘষতে পারেন।
কলার খোসার উপকারিতা - কলার খোসা দিয়ে সার তৈরি
  মুখের ব্রণ দূর করতে কলার খোসার জুড়ি মেলা ভার। কলার খোসার ব্যবহারে যদি একবার
  চলে যায় তাহলে তা আর ফিরে আসে না শুধুমাত্র নয় এটি মুখের দাগ দূর করে থাকে।
  কলার খোসা নিয়মিতভাবে রাতে মুখে ঘষলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়। এছাড়া মধুর সঙ্গে
  কলার খোসার পেজ মিশিয়ে মুখে ঘষলে মুখের দাগ একদম পরিষ্কার হয়ে যায়। কলার
  খোসায় রয়েছে ভিটামিন এবিসি পটাশিয়াম জিংক আয়রন ম্যাগনেসিয়াম ব্রণের দাগ দূর
  করতে ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কলার খোসা চোখের ছানি পড়া সমস্যা হতে
  মুক্তি দিতে পারে।
এছাড়া চোখের চুলকানি ও চোখের অবসাদ দূর করতে চোখের ওপর কলার খোসা মেখে নিলে ভালো
  কাজ করে। সর্বপ্রথম আমাদের যা করতে হবে তা হল খোসা গুলোকে টুকরো টুকরো করে কেটে
  নিতে হবে তারপরে ঢাকনাযুক্ত দিস বা বালতির মধ্যে পানি দিয়ে সর্বনিম্ন তিনদিন
  ভিজিয়ে রাখতে হবে। এই কলার খোসা ভিজিয়ে রাখলে পানির মধ্যে কলার খোসার উপকারিতা
  গুলো দ্রুত হবে এবং যখন আপনি তিনদিন পরে কন্টেনার টি খুলবেন দেখবেন যে পানি টা
  একটু ঘোলাটে হয়ে গেছে এটি গাছের গোড়ায় ব্যবহার করতে পারেন এটি অনেক উপকারী
  একটি পানীয়।
কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা - কলার খোসার প্যাক
  কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা অনেক আগ থেকেই হয়ে আসছে কলার খোসার প্যাক অনেকেই
  ব্যবহার করে থাকে। চোখ মুখের কালো ছাপ থাকলে তা কলার খোসার মাধ্যমে দূর করা
  সম্ভব। সর্বপ্রথম আমাদের কলার খোসাটা ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। এরপরে ছোট ছোট
  করে কলার খোসা গুলো কেটে নেওয়ার পর এটি গলায় মুখে ভালোভাবে খোঁজ নিতে হবে।
এরপরে সর্বনিম্ন 20 মিনিট থেকে আধ ঘন্টা পর্যন্ত মুখে এই রেমেডি প্রয়োগ করতে হবে
  এরপর আপনি শীতল পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন। এরপরে মুখ মোছার পরে দেখতে
  পাবেন মুখের তেলতেলে ভাব টুকু চলে গেছে। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ইউজ
  করলেই দেখতে পাবেন আপনার চোখের নিচের কালো দাগ মেছতা উধাও হয়ে গেছে।
  কলার খোসা দাঁতের ব্যাকটেরিয়া সঙ্গে লড়াই করে থাকে। দাঁতের সমস্যায় এটি অনেক
  কাজে লাগে। দাঁতের মাড়ি শক্ত করে কলার খোসা এছাড়া দাঁতের দাগ থাকলে নিয়মিতভাবে
  দাতে ঘষলে এটি ভালো হয়। এটি নিয়মিতভাবে ব্যবহারে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই রাত হয়ে
  ওঠে ঝকঝকে পরিষ্কার। উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট ভিটামিন b6 ভিটামিন বি টুয়েলভ
  পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এর মত সৌন্দর্য উপাদান ত্বকের পুর্নজন্ম এবং ত্বকের
  পৃষ্ঠাকে মসৃণ করতে সাহায্য করে। ব্লেন্ডারের কলার খোসার পেস্ট তৈরি করে নিন
  সর্বপ্রথমে।
এরপরে এই পেস্ট এর সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ যোগ করে নিন। এই মিশ্রণটি সঙ্গে গোলাপজল
  মিশিয়ে ভালো করে ত্বকে লাগালে এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে। এছাড়া
  এটি গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করে থাকে।
কলার উপকারিতা ও অপকারিতা - সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
  কলাপাড়ায় সীমের ভালো উৎস যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে যেমন স্ট্রোকের
  হার কমিয়ে দেয়। নিয়মিত কলা খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে স্ট্রোক বা হৃদযন্ত্র
  সমস্যা দূর হয়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে যায় অনেকাংশে। আমাদের শরীরের জন্য কোন
  কিছুই ভালো না অতিরিক্ত কলা খেলে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে এমনকি ক্ষয় সৃষ্টি হয়।
  একদিকে যেমন কলা দাঁতের জন্য ভালো অপরদিকে দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য অতিরিক্ত কলা
  খেলে এটি চকলেট এর থেকেও অনেকাংশে ক্ষতিকর বেশি।
  পাকা কলায় ট্রিপটোফ্যান এবং অ্যামাইনো এসিড বিদ্যমান থাকে। অতিরিক্ত অ্যামাইনো
  এসিডের প্রভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অনেকাংশে হ্রাস পেয়ে যায়। এছাড়া
  অন্যান্য ফলের চেয়ে কলাতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি বিদ্যমান রয়েছে। যার
  ফলে অতিরিক্ত মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। খালি পেটে কলা খেলে গলার মধ্যে কার
  প্রাকৃতিক চিনি শরীরে সরাসরি ইফেক্ট ফেলে যার কারণে শরীর তাৎক্ষণিকভাবে অনেক
  এনার্জি পেয়ে যায় এবং কর্মক্ষম হয়ে ওঠে।
  তবে এই এনার্জি বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয় না কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যায় তারপরে
  আবার শরীরের ক্লান্তি গ্রস্থ হয়ে পড়ে।
শেষ কথা
    আপনারা যদি কলার উপকারিতা ও অপকারিতা - সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
    জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে।এছাড়া আপনার যদি কলার
    উপকারিতা ও অপকারিতা - সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই
    পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন
    আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
  
 

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url