শবে বরাতের নামাজের নিয়ম - শবে বরাত কবে ২০২৩
  আজ আমরা জানবো শবে বরাতের নামাজের নিয়ম - শবে বরাত কবে ২০২৩ সম্পর্কে। নতুনভাবে নফল নামাজ ইবাদতের জন্য নতুন
  ভাবে ওযু করা মোস্তাহাব এছাড়া নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হল নফল নামাজ আর
  ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ। আমাদেরকে অনেকেই কমেন্ট করেন শবে বরাতের
  নামাজের নিয়ম - শবে বরাত কবে ২০২৩ এ সম্পর্কে জানার জন্য। একজন মুসলিম হিসাবে
  শবে বরাতের নামাজের নিয়ম - শবে বরাত কবে ২০২৩ এ সম্পর্কে জানার সকলের দায়িত্ব
  কর্তব্য।
  আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে শবে বরাতের নামাজের নিয়ম - শবে
  বরাত কবে ২০২৩ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি শবে বরাতের
  নামাজের নিয়ম - শবে বরাত কবে ২০২৩ সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ শবে বরাতের নামাজের নিয়ম - শবে বরাত কবে ২০২৩
শবে বরাতের ফজিলত
  নতুন প্রজন্ম এবং মুসলিম হিসাবে সকল মানুষের শবে বরাতের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানা উচিত। আজ আমাদের আর্টিকেল বিষয়বস্তু হলো শবে বরাতের নামাজের নিয়ম। চলুন জেনে আসি শবে বরাতের নামাজের নিয়ম। হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু তায়ালা হতে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
  ওয়াসাল্লাম এড়াতে মদিনার কবরস্থ জান্নাতুল বাকীতে এসে মৃতদের জন্য দোয়া ও
  ইস্তেগফার পাঠ করতেন যেন তারা মুক্তি পায়। তিনি আরো বলেছেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ
  সাল্লাম বলেছেন এড়াতে এবনি কাল ভেড়া শরীরের পশম এর চেয়েও বেশি সে গুনাহ যুক্ত
  মানুষের গুনাহ মাফ করে দেন। এছাড়া শাবান মাসের মধ্য দিনের বেলা রোজা রাখতে হবে
  এবং রাতে নফল ইবাদত করতে হবে।
  মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন 14 সাবান দিবাগত রাত
  যখন আসে তখন তোমরা দিনের বেলা রোজা পালন করা এবং রাতে ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে
  রাত যাপন করো মহান আল্লাহতালা মাথার সন্নিকটে চলে আসেন। মহান আল্লাহতালা পৃথিবীর
  আসমানে এই দিনে চলে আসেন কোন ব্যক্তি কি করছে তা নিজে অবলোকন করেন। এই দিনে রাতে
  ভোর পর্যন্ত মহান আল্লাহতালা সকল বান্দার ইবাদত বন্দেগী স্বয়ং অবলোকন করেন। ইবনে
  মাজাহ 1384 নং আয়াত।
শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস
  পবিত্র কুরআনুল কারীমের মহান আল্লাহতালা বলেছেন উজ্জ্বল কিতাবের নিশ্চয়ই আমি
  নাযিল করেছি এক পবিত্র এবং বরকতময় রাতে নিশ্চয়ই আমি আছি সরকারি হিসাবে। কুরআনুল
  কারীমে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয় এ নির্দেশ আমার তরফ থেকে নিশ্চয়ই আমি
  পাঠিয়েছি (সুরা৪৪ দুখান আয়াত ১৫। মুফাসসিরগণের তথ্যমতে লাইলাতুল মুবারাকা বরকতের
  শাবান মাসের পুনরায় বোঝানো হয়েছে।
হযরত ইকরিমা হতে বর্ণিত কয়েকজন তাফসিরবিদ থেকে বর্ণিত হয়েছে সূরা দুখান এর
  দ্বিতীয় আয়াতে বরকতের রাত বলে শবে বরাতের রাত কে বোঝানো হয়েছে কোরআনে।
  মহাগ্রন্থ হাদিস শরীফে উল্লেখ রয়েছে হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু তালা
  হতে বর্ণিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন
  আল্লাহতালা অর্ধ শাবানের রাতে আশরাফুল মাখলুকাত এর মধ্যে যারা আল্লাহর দিকে
  তাকিয়ে ক্ষমা চান এবং রহমত চান তাদের মহান আল্লাহতালা ক্ষমা করে দেন।
  রহমতের দৃষ্টি দেন অপরদিকে ও বিদআতের পোষণকারীদের সবাইকে ক্ষমা করেন না। মহানবী
  হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন এটি হলো অর্ধ শাবানের
  রাত এই রাতে আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন এবং যারা মহান
  আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা চায় তাদের ক্ষমা দেন যারা মহান আল্লাহর থেকে পানা চাই
  তাদের বানাবেন যাদের অনুগ্রহ চায় তাদের অনুগ্রহ দেন।
  অপরদিকে যারা কাফের মুশরিক তাদেরকে তাদের অবস্থা তেই ছেড়ে দেন হযরত আয়েশা
  সিদ্দীকা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত একবারও সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম
  নামাজে দাঁড়ালেন এত দীর্ঘ সিজদা করলেন যে আমার ধারণা ছিল তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
  সেই সময় আমি উঠে তার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে নাড়াচাড়া করলাম দেখলাম বৃদ্ধাঙ্গুলি
  সিজদা থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠলেন এবং
  নামায শেষ করার পর আমাকে বললেন হে আয়েশা তুমি কি মনে করেছ তখন আমি উত্তরে বললাম
  ইয়া রাসূলাল্লাহ আপনার দীর্ঘ সিজদা থেকে আমার আশংকা হয়েছিল আপনি মৃত্যুবরণ
  করেছিলেন কিনা। 
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় বললেন তুমি কি জানো এটি কোন
  রাত আমি বললাম না আমি জানিনা এটা আল্লাহ ও আল্লাহর রসূল ভালো জানেন তখন মহানবী
  হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন এটা হল অর্ধ শাবানের রাত
  এড়াতে মহান আল্লাহতালা জমিনের দিকে বা জমিনের নিকটে চলে আসেন এবং বান্দাদের দিকে
  মনোযোগ দেন ক্ষমা প্রার্থীদের মহান আল্লাহতালা এড়াতে ক্ষমা করে দেন অনুগ্রহ
  প্রার্থীদের অনুগ্রহ করে না আর যারা কাফের মুশরিক তাদেরকে তাদের অবস্থা তেই ছেড়ে
  দেন।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম
    শবে বরাতের নামাজের নিয়ম হলো অন্য নাম নামাজের মতই দুই রাকাত নফল নামাজ পড়া।
    প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহার সঙ্গে পবিত্র কোরআনের যে কোন সূরা পড়া এরপর
    যথানিয়মে রুকু সিজদা করা এবং অন্য গুলো আদায় করা এভাবে দুই রাকাত নামাজ শেষ
    করা উত্তম। প্রতি দুই রাকাত বা চার রাকাত নামাজ পড়ার পর কিছু সময় দোয়া দুরুদ
    তসবি তাহলীল জিকির করা এছাড়া কোরআন শরীফ হতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূরা তেলাওয়াত
    করা উত্তম।
এছাড়া পুনরায় নামাজ আদায় করার জন্য দাঁড়াতে হবে নামাজ পড়ে আবার জিকির
    কোরআন তেলাওয়াত তওবা-ইস্তেগফার সহ দিনই আলোচনা এবং কোরআন হাদিসের ব্যাখ্যা করা
    উত্তম। প্রতিটি মানুষের সাধ্য অনুযায়ী নামাজ আদায় করা উত্তম এড়াতে তবে
    পবিত্র কোরআনে যথাসাধ্য নফল ইবাদত করার প্রতি ইঙ্গিত পোষণ করা হয়েছে। মহান
    আল্লাহ তায়ালা সাধ্যের বাইরে কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি
    বা ছাড়াছাড়ি কোনটাই করা যাবে না।
  
    এছাড়া নামাজ পড়তে পড়তে বা কোরআন শরীফ পড়তে পড়তে একদিন চলে আসতে পারে এজন্য
    কিছু আমল করা উচিত এ সময়। ইসলামে নফল নামাজ পড়ার নির্দিষ্ট নিয়ম বানিয়ে
    নেওয়া সম্পূর্ন নতুন আবিষ্কার এটি বিদআত মহান আল্লাহতালা বলেছেন আমি সকলের
    জন্য যেটা প্রয়োজন সেটা সৃষ্টি করেছি কেউ যদি আমার সঙ্গে শেয়ার করে তাহলে সে
    কোভিদ আগুনের অধিকারী হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে যুগের আলেমগণ সকলে একমত পোষণ করেন
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খোলাফায়ে রাশেদীন সাহাবায়ে
    কিরাম কখনো তা করেননি।
একটি রাতে যেহেতু দীর্ঘ সময় পাওয়া যায় তাই মুসলিমদের উচিত নামাজ পাশাপাশি
    সালাতুত তসবির নামাজ পড়া। এই নামাজ জীবনে একবার হলেও পড়ার তাগিদ দিয়েছেন
    মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে
    বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্বাস ইবনে
    আব্দুল মুত্তালিব কে বলেছেন হ্যা চাচা আমি কি আপনাকে দেব না আমি আপনাকে প্রদান
    করব না আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন।
  
    আরো পড়ুনঃ আদা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
  
    এছাড়া প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা। এছাড়া প্রথম রাকাতে যখন
    কেরাত পড়া শেষ করবেন তখন দাড়ানো অবস্থায় 15 বার বলবেন সুবহানাল্লাহ ওয়াল
    হামদুলিল্লাহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার।
  
শবে বরাত কবে ২০২৩
    অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন 2023 সালে শবে বরাত কত তারিখে এবছরের শবে বরাত 2023
    সালের মার্চ মাসের 8 তারিখে হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে সঠিক তারিখ
    সাবানের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে দেওয়া সম্ভব চৌদ্দশ 44 সালের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে
    এটি নির্ণয় করা হয়। শবে বরাত ইসলামিক ক্যালেন্ডার এর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ
    রাত এটি সাবানের মাঝামাঝি উদযাপিত হয় এবং এই রাতের গুরুত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে
    মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন এড়াতে বান্দা যা চায়
    আল্লাহ তালা কবুল করেন। এই বরকতময় রাত 14 সাবান সূর্যাস্তের সময় শুরু হয় এবং
    15 শাবান ভোরবেলা শেষ হয় এই পুরো রাতে সকলের ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে ব্যস্ত থাকা
    উচিত।
  
  শেষ কথা
      আপনারা যদি শবে বরাতের নামাজের নিয়ম - শবে বরাত কবে ২০২৩ সম্পর্কে জানতে
      চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া আপনার যদি শবে
      বরাতের নামাজের নিয়ম - শবে বরাত কবে ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট
      টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শবে বরাতের নামাজের নিয়ম - শবে বরাত কবে
      ২০২৩ সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে
      পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন
      ধন্যবাদ।
    
   

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url