রমজান মাসের সেহরি এবং ইফতারের সেরা খাবারের তালিকা
  দোয়া কবুল হওয়ার সূরা - দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমলরমজান মাসের জন্য স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর সেহরি এবং ইফতারের সেরা খাবারের তালিকা সম্পর্কে জানুন। এই পোস্টে থাকছে শক্তি বৃদ্ধিকারী সেহরি আইটেম, হালাল ও হালকা ইফতার খাবার, এবং সুস্থ থাকার জন্য পরামর্শ
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে আমরা আপনার সাথে শেয়ার করছি রমজান মাসের সেহরি এবং
  ইফতারের সেরা খাবারের তালিকা। যে তালিকা মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন কোন কোন
  খাবারগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং কোন কোন খাবার গুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
  এছাড়াও সেহরির জন্য শিশুদের উপযুক্ত খাবার তালিকা।
রমজান মাসের সেহরি এবং ইফতারের সেরা খাবারের তালিকা
  রমজান মাস হল ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য এটি
  একটি পবিত্র ও আত্মশুদ্ধির মাস। এই রমজান মাসে মুসলমান রোজাদারগন ভোরবেলা সেহরি
  খাওয়ার মাধ্যমে দিনের উপবাস শুরু করেন এবং সূর্যাস্তের পর ইফতারের মাধ্যমে তাদের
  রোজা সমাপ্তি করে থাকে। কিন্তু সেহরি ও ইফতার খাবার শুধুমাত্র শরীরে শারীরিক
  শক্তি
  আরো পড়ুনঃ আশুরার ইতিহাস - আশুরার বিশেষ কয়েকটি আমল
  যোগানোর মাধ্যম নয় বরং এটি একটি পবিত্র ইবাদতের অংশবিশেষ। কেননা সেহরি এবং
  ইফতারের সময় পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই
  খাবার গুলো শরীরের বিভিন্ন শক্তি ও পুষ্টি প্রদান করে থাকে যাতে করে মুসলমান
  রোজাদারগণ সারাদিন উপবাস থাকার পরেও শরীরে ভালো অনুভব করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে
  অনেক মুসলমান 
  রোজাদার রয়েছে যারা রমজান মাসের সেহরি এবং ইফতারের সেরা খাবারের তালিকা সম্পর্কে
  সঠিক তথ্য জানেনা। তাই মুসলমান রোজাদার গণ উদ্দেশ্য করে বলছি, আজকের পোস্টটি
  আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন পড়েন তাহলে, রমজান মাসের সেহরি এবং ইফতারের
  সেরা খাবারের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। 
  যে তথ্যগুলোর মাধ্যমে আপনাদের রোজা পালনকে আরো বেশি উপভোগ্য এবং স্বাস্থ্যসম্মত
  করে তুলতে পারে। তাই আসুন আমরা এক নজরে জেনে নিই রমজান মাসের সেহরি এবং ইফতারের
  সেরা খাবারের তালিকা গুলো।
  সেহরির জন্য সেরা খাবারের তালিকা
  সেহরি খাবার হল এমন এক ধরনের খাবার যে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে মুসলমান রোজাদার গন
  তাদের দিনের উপবাস শুরু করার শক্তি অর্জন করতে পারে। কিন্তু অনেক রয়েছে যারা
  সেহরি খাওয়ার জন্য সঠিক খাবার কোনগুলো এবং কোন কোন খাবার খেলে শরীরে দীর্ঘ
  সময়ের জন্য শক্তি প্রদান করে থাকে তা এই বিষয়ে তারা সঠিকভাবে অবগত না। 
  বর্তমান সময়ে গ্রাম বাংলা সহ শহর অঞ্চলের মানুষগুলো সেহেরী খাবার তালিকার মধ্যে
  বিশেষ করে গরুর মাংস, মুরগির মাংস, হাঁসের মাংস সেহরি খাবারের জন্য বিশেষভাবে
  প্রস্তুত করে রাখে। তবে এ জাতীয় খাবার গুলো উচ্চ ক্যালরি ও আমিষ জাতীয়
  বিদ্যামান থাকার কারণে হজমের জন্য কিছুটা সমস্যা হতে পারে। এমনকি রোজাদার
  অস্বস্তি অনুভব করতে পারে। 
  তাই সেহরির জন্য এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে যে খাবারগুলোর সহজে হজম যোগ্য এবং
  দীর্ঘক্ষণ শক্তি সরবরাহ করে। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে সেহরি খাওয়ার উপযুক্ত
  খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নিচে বর্ণনা করা হলো। যে খাবার খাওয়ার
  মাধ্যমে শরীরে দীর্ঘসময়ের জন্য শক্তি প্রদান করে।
সেহরির জন্য সেরা খাবারের তালিকা
- সেহরি খাওয়ার জন্য পুষ্টিকর এবং সহজে হজম যোগ্য এমন ধরনের খাবার গুলো নির্বাচন করতে হবে। যেগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য শক্তি সরবরাহ করে থাকে আর এই খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে, ওটস পোরিজ বিশেষভাবে উল্লেখ্য।
- প্রোটিনের ভালো উৎস সরবরাহ করার জন্য বা শরীরে দীর্ঘ সময়ের শক্তি বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে ডিমের ঝোল বা সেদ্ধ ডিম অতুলনীয়।
- সেহরির জন্য নির্বাচন করতে হবে এমন ধরনের খাবার যে খাবারগুলো সহজে প্রস্তুতযোগ্য এবং ফাইবার শক্তিতে ভরপুর যেমন আলু ভর্তা ও স্যালাড।
- প্রাকৃতিকগতভাবে চিনে উৎস পূরণ এবং পেটের যেকোনো ধরনের সমস্যার সমাধানে সহায়তা প্রদান করে এমন ধরনের খাবার সেহরির জন্য নির্বাচন করতে হবে যেমন দই ও ফল।
- স্বাস্থ্যকর ও সুষম জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে দীর্ঘ সময়ের জন্য শক্তি যোগান দেয় আর এই স্বাস্থ্যকর ও সুষম জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে বিশেষত্ব হল যে, কাঁচা শাকসবজি ও ডাল।
  ইফতারের সেরা খাবারের তালিকা
  ইফতার হলো রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অর্থাৎ মুসলমান রোজাদার গন সারাদিন
  রোজা রাখার পর সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতারের মাধ্যমে তাদের রোজা সমাপ্তি করে
  থাকে। কিন্তু অনেক মুসলমান রোজাদারগণ রয়েছে যারা ইফতারের জন্য সেরা খাবারের
  তালিকা কোনগুলো এ বিষয়ে সম্পর্কে তারা খুব কম সংখ্যক লোকই জানলেও বেশিরভাগই
  মানুষই ইফতারের সেরা খাবারের তালিকা সম্পর্কে জানেনা। আবার অনেকে মনে করেন
  ইফতারের খাবার গুলো পেট ভরে খাওয়া উচিত। কিন্তু তাদের এই চিন্তা ধারণাগুলো
  সম্পূর্ণ ভুল। কারণ ইফতারের খাবার গুলো পেট ভরানোর সময় নয় বরং ইফতার করার
  মুহূর্ত গুলো আধ্যাত্মিক ও সামাজিক আনন্দঘন মুহূর্তের অংশবিশেষ।
  তাই আসুন আমরা ইফতারের জন্য সেরা খাবারের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে
  আলোচনা করি। যে তথ্যগুলোর মাধ্যমে মুসলমান রোজাদারগন ইফতারের জন্য কোন কোন
  খাবারগুলো সেরা।
- খেজুর।
- তাজা ফলমূল যেমন আপেল কমলা আঙ্গুর ইত্যাদি।
- ডাবের পানি বা লেবুর শরবত।
- বিভিন্ন ধরনের কাঁচা সবজির সালাদ।
- ছোলা ও ডাল বাজা।
- পিয়াজু ও বেগুনি।
- পকোড়া সমুচ্চা ও সিঙ্গারা।
  তাই উপরে আলোচনায় বিষয়বস্তুতে সেহরি এবং ইফতারের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপযুক্ত
  খাবার সম্পর্কে বলা হয়েছে। যে খাবারগুলো খেলে একজন রোজাদার মুসলমানদের জন্য
  সারাদিন ধরে রোজা রাখার শক্তি ও পুষ্টি দুটি গুনাগুন পেয়ে থাকে। তবে শরীরে
  প্রতিটি প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সঠিক পরিমাণে পাওয়া যায় তা এ ব্যাপারে
  রোজাদারদের সতর্কতা অবলম্বন সহিত নিশ্চিত করতে হবে।
রমজানে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সেহরি খাবার
  রমজান মাস যেহেতু মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র ও আধ্যাত্মিক আত্মশুদ্ধি ও ধৈর্য
  চর্চা করার সময়। আর এই মাসে আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ
  করার জন্য তারা চেষ্টা করে। তবে রমজান মাসে ইবাদত করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর
  খাবার খাওয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সেহরি খাবার ক্ষেত্রে। যা
  দিনের শুরুতে দীর্ঘ সময়ের
  আরো পড়ুনঃ রিজিক বৃদ্ধির আমল - রিজিক বৃদ্ধির দোয়া 
  জন্য শক্তি যোগান রাখার এ খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গ্রাম
  বাংলার মানুষের কাছে সেহরি খাবারগুলো একদিকে যেমন পুষ্টিকর তেমনি ঐতিহ্যের স্বাদে
  ভরপুর। বর্তমান সময়ে এখনো প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী সেহরি খাবার অনেক গ্রামীন
  এলাকাতে বিদ্যমান রয়েছে। যা এ সমস্ত খাবারগুলো সহজে প্রস্তুত যোগ্য এবং হজমে
  কোন 
  সমস্যা হয় না এমনকি দীর্ঘ সময়ের জন্য শরীরে শক্তি সঞ্চালন প্রদান করে থাকে। তাই
  আপনারা যদি রমজানে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সেহরি খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত
  তথ্য জানতে হলে, আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আপনাদের
  সুবিধার জন্য রমজানে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সেহরি খাবার তালিকা সম্পর্কে নিচে
  দেওয়া হল।
  পান্তাভাত ও ডাল
  গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে এখনো সেহেরির জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পান্তা ভাত ও ডাল
  বেশ জনপ্রিয়। কেননা পান্তা ভাত একদিকে যেমন গরমে শরীরকে ঠান্ডা এবং সতেজ রাখতে
  সাহায্য করে। তেমনিভাবে অন্যদিকে ডাল আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের
  চাহিদা পূরণ করে। বিশেষ করে এখনো অনেক গ্রামীণ পরিবারগুলো রয়েছে, যে পরিবারগুলো
  সেহেরির জন্য সরিষার তেল এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তা ভাত খেতে পছন্দ করে।
  রুটি ও গরুর মাংস ভুনা
  গ্রাম বাংলার মহিলাদের হাতের তৈরি মোটা মোটা রুটি এবং গরু মাংসের ভুনা সেহরি
  খাবারের জন্য আরেকটি জনপ্রিয় আকর্ষণ। কারণ রুটি কার্বোহাইড্রেট এর ভালো একটি উৎস
  থাকার কারণে যা আমাদের শরীরে দীর্ঘ সময়ের জন্য এনার্জি সরবরাহ করে থাকে।
  খিচুড়ি ও ডিম ভাজা
  বর্তমানে খিচুড়ি সহজে প্রস্তুতযোগ্য এবং পুষ্টিকর খাবার যা সেহরির জন্য অত্যন্ত
  উপযোগী খাবার। কিন্তু এর সঙ্গে ডিম ভাজা যোগ করলে পুষ্টিতে পুষ্টির পরিমাণ
  পূর্ণাঙ্গ হয়ে ওঠে।
  কলা ও দুধ
  বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকাগুলোতে সেহরি জন্য এখনো কলা ও দুধ খুবই প্রচলিত একটি
  খাবার। আর কলা একদিকে আমাদের শরীরে শক্তি যোগান দেওয়ার মাধ্যমে ক্ষুদা নিবারণের
  ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে। তেমনিভাবে দুধ আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়
  প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
  মুড়ি ও গুড়
  গ্রামীন এলাকার মানুষগুলোর কাছে এখনো মুড়ি ও গুড় সেহরি জন্য জনপ্রিয় ও বিকল্প
  খাবার। কেননা এই খাবারগুলো সহজে হজম যোগ্য এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে এনার্জি সরবরাহ
  করে থাকে।
  তাই পরিশেষে বলছি যে, গ্রামীন এলাকা অর্থাৎ গ্রাম বাংলা ঐতিহ্যবাহী সেহরি খাবার
  গুলো শুধুমাত্র পুষ্টিকর জন্য নয় বরং গ্রামীণ মানুষের জীবনের সরলতা ও ঐতিহ্যের
  প্রতিফলন ঘটে থাকে। তবে আজকের এই আধুনিকতার যুগে বসবাস করলেও গ্রামীন এলাকার সে
  ঐতিহ্যবাহী সেহেরির খাবারের কথা আমাদের এখনো স্মরণ করিয়ে দেয়। আর এই জন্য
  গ্রামীণ বাংলা ঐতিহ্যবাহী সেহরি খাবার বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমাদের গুরুত্বপূর্ণ
  ভূমিকা রয়েছে।
সেহরির জন্য ডায়াবেটিস রোগীর উপযোগী খাবার
  রমজান মাস পালন করা প্রতিটি মুসলিমদের কাছে পবিত্র ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক
  ধৈর্যের চর্চা করার মাস। কিন্তু এই রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রোজা পালন
  করা ফরজ। তবে বিশেষ সতর্কতার সহিত রোজা পালন করতে হবে। যেহেতু সেহরি একটি
  গুরুত্বপূর্ণ খাবার কেননা এই খাবার খাওয়ার মাধ্যমে রোজাদার গন তাদের দিনের রোজা
  শুরু করে থাকে। 
  অর্থাৎ স্বাভাবিক মানুষের জন্য সেহরি খাবার যতটা গুরুত্বপূর্ণ ঠিক ডায়াবেটিস
  রোগীদের ক্ষেত্রে ততটা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস
  রোগী ও রমজান মাসে রোজা পালন করে। কেননা ডায়াবেটিস রোগীরা দীর্ঘসময়ে উপবাস
  থাকার কারণে তাদের রক্তের স্তর কখনো বেড়ে যেতে পারে আবার কখনো কমতে পারে।
  তাই তাদের রোজা পালনের জন্য সেহরিতে এমন ধরনের খাবার নির্বাচন করতে হবে যেগুলো
  ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত। তাই আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি আপনারা যদি
  মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনারা জানতে পারবেন সেহরিতে
  ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযোগী খাবার গুলো কি কি। 
  তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন আমরা জেনে আসি রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
  সেহরির উপযুক্ত খাবার তালিকা।
  ডিম
  ডিম একটি উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যা রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং
  দীর্ঘক্ষন খোদা নিবারণ করে থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সেদ্ধ ডিম কিংবা
  তেল বিহীন ডিমের রেসিপি তাদের জন্য বেশ উপযোগী।
  বাদাম ও বীজ
  ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আমন্ড, আখরোট এবং সূর্যমুখীর বীজ দারুন উপকারি। কেননা
  এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিন সরবরাহ করে থাকে।
  ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
  ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা
  ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো নিয়মিত খেলে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে
  সাহায্য করে। আর ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে শাকসবজি, মসুর ডাল, শসা
  এবং গাজর।
  টক জাতীয় ফল
  ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টক জাতীয় খাবার অর্থাৎ আপেল, স্ট্রবেরি এবং কমলার মতো
  বিভিন্ন ধরনের টক জাতীয় ফলগুলো রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য
  করে এবং ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে থাকে।
  ডায়াবেটিস রোগীদের সেহরিতে এড়ানো খাবার তালিকা
- মিষ্টি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কেননা এই জাতীয় খাবার গুলো দ্রুত রক্তের শর্করা মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
- অতিরিক্ত তেল যুক্ত এবং ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- সাদা চালের ভাত এবং রুটিন দ্রুত হজম হয় বলে রক্তের শর্করা মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে তা এগুলো খাওয়া সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- চা, কফি অতিরিক্ত পরিমাণে পান করলে ডায়াবেটিস রোগীদের ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  সুতরাং ডায়াবেটিসের রোগীদের উদ্দেশ্য করে বলছি যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে
  তারা যদি উপরোক্ত আলোচনা বিষয়ে খাবারগুলো নিয়মিত খান তাহলে, তাদের রক্তের
  শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারবে এবং রমজান মাসে রোজা পালন করার ব্যাপারে
  কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
সেহরির জন্য শিশুদের উপযুক্ত খাবার তালিকা
  রমজান মাস মুসলমানদের জন্য অর্থাৎ বড়দের ক্ষেত্রে যেমন এক আত্মশুদ্ধি ও
  ধৈর্যচর্চার মাস হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে রমজান মাস অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার মাস।
  বিশেষ করে এ সময়ে ছোটরা বড়দের সাথে নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রোজা রাখার
  অনুপ্রেরণা পাওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুশাসনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার
  সুযোগ লাভ করে।
  তবে অনেক পরিবারে গুলো রয়েছে যারা এখনো তাদের শিশুদের জন্য রমজান মাসে সেহরির
  জন্য শিশুদের উপযুক্ত খাবার তালিকা গুলো কি কি তা সঠিকভাবে তারা জানে না। কিন্তু
  আজকের এই পোস্টটি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে, অবশ্যই আপনাদের
  শিশুর জন্য সেহরির উপযুক্ত খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন। 
  যে খাবারগুলো শিশুদের শরীরে চাহিদা পূরণ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  এছাড়াও তাদের দীর্ঘ সময়ের শরীরে এনার্জি ধরে রাখা এবং সুস্থতা প্রদান করার জন্য
  সেহরির উপযুক্ত খাবারগুলো সহায়ক। অর্থাৎ রমজান মাসের সেহরি এবং ইফতারের সেরা
  খাবারের তালিকা গুলো বড়দের যেমন প্রযোজ্য তেমনি ভাবে শিশুদের জন্য সেহরির
  উপযুক্ত খাবার গুলো প্রযোজ্য।
  আজকের এই পোস্টে আমরা শিশুদের জন্য সেহরির উপযুক্ত খাবার তালিকা সম্পর্কে
  বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করব যে খাবারগুলো শিশুদের উপযুক্ত পুষ্টি সরবরাহ
  নিশ্চিত কর।
  দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার
  দুধ ছোট শিশুদের শক্তি ও ক্যালসিয়াম যোগানোর জন্য প্রধান উৎস সেহরিতে প্রতিদিন
  এক গ্লাস দুধের সঙ্গে আপনি যদি চকলেট সিরাপ মিশিয়ে দিন তাহলে এটি আরো আকর্ষণীয়
  হবে। এছাড়াও শিশুদের জন্য দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবারও সেহরিতে যোগ করতে পারে।
  ফল এবং ফলের সালাদ
  সেহরিতে বিভিন্ন মৌসুমী ফল যেমন কলা, পেঁপে, আঙ্গুর, আপেল ইত্যাদি শিশুদের
  খাওয়ানো যেতে পারে। কেননা এই ফলগুলো তাদের দ্রুত শক্তি যোগায় ও হজম প্রক্রিয়া
  সহজ করে তোলে। এছাড়াও আপনি চাইলে শিশুদের জন্য ফলের সালাদ তৈরি করে তাতে সামান্য
  কিছু মধু মিশিয়ে দিলে শিশুরা বেশ আনন্দের সঙ্গে খেয়ে নেবে।
  ডিম
  ডিম যেহেতু প্রোটিনের একটি অংশ বিশেষ তাই সেহরিতে আপনার শিশুকে সেদ্ধ ডিম কিংবা
  ডিমের স্যান্ডউইচ বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। ফলে এটি শিশুদের দীর্ঘসময়ের জন্য পেট
  ভরে রাখতে সহায়তা করে।
  রুটি এবং পরোটা
  দোকানের কিংবা হাটে বাজারে পুরি ও ভাজা খাবারের পরিবর্তে শিশুকে তাজা আটা রুটি
  পরোটা বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। আর আপনি চাইলে এই রুটির সঙ্গে জ্যাম বা মধু
  মিশিয়ে দিলে শিশুর সেহরি খাবার আরও বেশি আকর্ষণীয় হবে।
  শাকসবজি ও খিচুড়ি
  শাক সবজি এবং সামান্য পরিমাণ চাল মিশিয়ে শিশুর জন্য পুষ্টিকর এবং সহজে হজম যোগ্য
  খিচুড়ি রান্না করে , খাওয়ানো যেতে পারে। এতে করে শিশুর দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট
  ভরিয়ে রাখে।
  পানি এবং স্বাস্থ্যকর পানীয়
  শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপদ পানীয় পান করতে দিন। এছাড়া তাজা ফলের রস লাচ্ছি
  শিশুদের জন্য ভালো একটি বিকল্প খাবার। এটি তাদের শরীরকে সর্বদা হাইড্রেটেড রাখতে
  সহায়তা করে।
  সেহরিতে এড়িয়ে যাওয়া শিশুদের খাবার সমূহ
- ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা ভাজাপোড়া খাবার অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে যা হজমে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
- শিশুদের জন্য অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার কিংবা ঝাল খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
- কোল্ড ড্রিংকস এর মত পানীয় কিংবা অতিরিক্ত চিনি যুক্ত পানীয় কখনো পান করা উচিত নয়।
- চিপস কিংবা অন্যান্য ধরনের জাঙ্ক ফুড খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
  পরিশেষে বলা যায় শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য এবং তাদের
  পছন্দ অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার সেহরির জন্য নির্বাচন করতে হবে কেননা এ ধরনের
  পুষ্টিকর খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে শিশুদের সুস্থ রাখার পাশাপাশি শারীরিক শক্তি
  অর্জন করতে পারবে কাজের সব দিকে বিশেষ বিবেচনা করে এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে
  শিশুরা যেন সুস্থ অবস্থায় থাকে রোজা পালন করতে পারে এবং রমজানের সময়টি
  সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারে
লেখকের শেষ কথাঃ রমজান মাসের সেহরি এবং ইফতারের সেরা খাবারের তালিকা
  যেহেতু রমজান মাসে সেহরি এবং ইফতার প্রতিদিনের রোজা রাখার মূল ভিত্তি। আর এই
  সময়ে খাদ্যভাস কেবলমাত্র শারীরিক শক্তি ও সুস্থতা প্রদানের জন্য নয় বরং
  আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলার চিহ্ন স্বরূপ। তাই সেহরিতে এমন ধরনের খাবার নির্বাচন করতে
  হবে যেগুলো শরীরের শারীরিক শক্তি দীর্ঘ সময়ের জন্য যোগাবে এবং রক্তের শর্করা
  মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
  অন্যদিকে ইফতারের জন্য খেজুর সহ বিভিন্ন ধরনের ফলমূল এবং হালকা খাবার নির্বাচন
  করতে হবে। কেননা এ ধরনের খাবারগুলো দ্রুত শরীরের শক্তি যোগানোর পাশাপাশি হজমের
  জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত মসলা জাতীয় এবং মিষ্টি
  খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে যতটুক সম্ভব পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার
  খাওয়া উচিত।
  যাতে করে আপনার সুস্থতা প্রদানের মাধ্যমে রোজা পরিপূর্ণভাবে পালন করতে পারেন।
  আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা যদি রমজান মাসের সেহরি এবং ইফতারের সেরা খাবারের
  তালিকা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে, আপনার প্রতিবেশী কিংবা
  আত্মীয় স্বজনদের সাথে এই বিষয় নিয়ে বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং ভবিষ্যতে
  এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। কেননা
  আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নিত্য নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে। এতক্ষণ
  মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
 

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url