সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার নিয়ম
  আজ আমরা আলোচনা করব সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার নিয়ম
  সম্পর্কে। মেদ বা ফ্যাট কমাতে চাইলে সকাল
  বেলা নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। আমাদেরকে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন সকালে ব্যায়াম
  করার উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার নিয়ম সম্পর্কে। চলুন সকালে ব্যায়াম করার
  উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে আসি।
  আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা -
  সকালে ব্যায়াম করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি
  সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার নিয়ম সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার নিয়ম
সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার নিয়ম
  আজ আমাদের মূল বিষয় হলো সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা। সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা অনেক বিশেষজ্ঞরা বলেন সকালে ব্যায়াম করার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। আমাদেরকে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা সম্পর্কে সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা বলতে এটি শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এটি স্ট্রোক ডায়াবেটিক ব্লাড ক্যান্সার এর মত মরণব্যাধি শরীরে প্রবেশ করতে দেয় না।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে দিনের সকালের দিকে ব্যায়াম করলে শরীরের জন্য এটি বেশি
  সুফল বয়ে আনে। সকালে নিয়মিত ব্যায়াম করলে হার্টের সমস্যা ডায়াবেটিস
  উচ্চরক্তচাপ কোলেস্টেরলের সমস্যা স্ট্রোক ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। আমাদের
  শরীরের সকালে কার্বোহাইড্রেট এর পরিবর্তে ফ্যাট বা চর্বি শক্তি উৎস হিসাবে
  ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  এছাড়া কার্বোহাইড্রেট রাত্রিবেলা শরীরকে শক্তি সরবরাহ করে থাকে। এজন্য মেদ বা
  ভুঁড়ি কমাতে চাইলে সকালে ব্যায়াম করা উত্তম। যারা স্বাস্থ্যসচেতন তারা নিয়মিত
  সকালে ব্যায়াম করেন কারণ শরীরকে ফিট রাখার জন্য সকালের ব্যায়াম টি অতি
  প্রয়োজনীয় আমাদের শরীরের জন্য। সকালে নিয়মিত ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরে
  এনডরফিন নামের হরমোন নিঃসরণ হয় এই এন্ডোরফিন মস্তিষ্কের রিসোর্স গুলোর সঙ্গে
  যোগাযোগ করে একটি ইতিবাচক অনুভূতি সৃষ্টি করে।
  যার ফলে আমাদের মন পুরো দিন ভালো থাকে হতাশামুক্ত থাকে এবং মানসিক টেনশন মুক্ত
  থাকে। সকালে ব্যায়াম করলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ে যার ফলে আমাদের
  শরীরের পেশী গুলো মজবুত ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সকালে ব্যায়াম করলে আমাদের শরীর
  কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়ে পাশাপাশি আমাদের প্রতিদিনের কাজ গুলোর কারণে আমাদের
  শরীর পুরোপুরিভাবে ক্লান্ত হয়ে যায় যার ফলে রাত্রিতে ঘুমানোর সময় আমরা দ্রুত
  ঘুমিয়ে পড়ি।
  আমাদের শরীর লম্বা একটি ঘুম পায় যার ফলে শরীর থেকে রোগ মুক্ত। যাদের ঘুমের
  সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত সকালে ব্যায়াম করতে পারেন। আমাদের শরীরের শর্করার
  পরিমাণ বজায় রেখে ডায়াবেটিকস কমিয়ে দেয় সকালের এই ব্যায়াম। সকালে যদি কেও
  নিয়মিত জগিং করে বাঁহাটেের সে ক্ষেত্রে তার হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায় কারণ
  অক্সিজেন সরবরাহ রক্তে বেশি বৃদ্ধি পায়।
  সকালে ব্যায়াম করলে শুধু শরীরের জন্যই এটি ভালো নয় এটি ক্ষুধা বৃদ্ধি করে হজম
  ভালো করে খাবার ইচ্ছা তৈরি করে। প্রতিদিন সকালে নিয়মিত যদি হাঁটা যায় সে
  ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের রোহিত রক্তকণিকা থেকে চরবি ঝরে পড়ে হাঁটার সময় রক্তের
  ইনসুলিন ও গ্লুকোজ হয় হয় যার ফলে ডায়াবেটিকস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে এছাড়া
  ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি ও হতে পারে না শরীরে।
  সকালে জগিং এর একটি ভাল গুণ হলো এটি যেমন আমাদের ফুসফুসকে সতেজ রাখে তেমনি সকালের
  স্নিগ্ধ পলিউশন মুক্ত বাতাস আমাদের নিঃশ্বাসের মাধ্যমে অক্সিজেন রূপে আমাদের
  শরীরে প্রবেশ করে থাকে এবং অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করে আমাদের
  মস্তিষ্কে সরবরাহ হয় যার ফলে আমাদের মস্তিষ্ক সতেজ হয়ে যায়।
  মস্তিষ্কে ফ্রেশ অক্সিজেন প্রবেশের কারণে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
  বৃদ্ধি পায় ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ হয় স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায় মস্তিষ্কের
  কার্যকারিতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। আমরা রাতে দীর্ঘ সময়ে ঘুমানোর পরে সকালে উঠে
  যদি ব্যায়াম করি তাহলে এটি আমাদের ফুসফুস সহ রক্তকে সজীব রাখে এছাড়া শরীরকে
  কর্মক্ষম করে তোলে।
  তাছাড়া সন্ধ্যা বা বিকেল সময় ব্যায়াম করা যেতে পারে যেহেতু আমাদের শরীরে
  ব্যায়াম করলে প্রচুর পরিমাণে ঘাম ঝরে সেই জন্য ঠান্ডা আবহাওয়া তে অর্থাৎ সকাল
  অথবা বিকালে ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। দুপুরবেলা অতিরিক্ত গরমে
  ব্যায়াম করলে অতি অল্প সময় ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন অনেকেই আছেন যারা সারাদিনের
  ব্যস্ততার কারণে রাতে ব্যায়াম করেন এতে কোন সমস্যা নাই বরংচ রাতে ব্যায়াম করলে
  ঘুম ভালো হবে।
ব্যায়াম করার পর খাবার তালিকা - প্রতিদিন কি ব্যায়াম করা উচিত
  বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে ব্যায়াম করার পর ভারী খাবার শরীরে না দেওয়া শরীরের জন্য
  উত্তম। চাইলে তরল যে কোন খাদ্য সেটা প্রোটিন শেক হোক বা পানি যেকোনো কিছু পান করে
  নিতে পারেন এতে শরীর সতেজ হয়ে যাবে। এতে আপনার শরীর কর্মক্ষমতা পুনরায় ফিরে
  পাবে এছাড়া স্বাভাবিকভাবেই ব্যায়ামের পর শরীর ইত্যাদি ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
  ব্যায়াম শেষে আধাঘন্টা পর হালকা কিছু খেয়ে নিতে পারেন সেটা হোক ফল কিংবা ফলের
  রস। অবশ্যই জিমের দুই ঘন্টা পরে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে ভারী জাতীয়। অনেক জিম
  রয়েছে যেখানে জিমের পরে গোসলের ব্যবস্থা থাকে। তোয়ালে থেকে শুরু করে সকল
  প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সেখানে দেওয়া থাকে তবে কেউ চাইলে নিজের সুবিধামতো নিজের
  জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে রাখতে পারেন।
  ব্যায়াম করার পর সাধারণত শরীরের জন্য সাথে সাথে গোসল করা ঠিক নয় কিছুক্ষণ পর
  গোসল করা উচিত। ঘাম শুকানোর জন্য অপরদিকে ফ্যানের নিচে সরাসরি বসে থাকা যাবেনা
  ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঘাম শুকিয়ে যাওয়া ভালো। না
  হলে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে এবং অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
  প্রতিদিন 30 মিনিট করে সপ্তাহে 5 দিন ব্যায়াম করলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে
  ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করা সবচেয়ে উত্তম তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন
  সপ্তাহে 5 দিন যে কোন ব্যায়াম করলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। এছাড়া যারা
  অ্যাথলিট হতে চান বা শরীরকে গঠনমূলক করে তুলতে চান তাদের জন্য একটু বেশি ব্যায়াম
  করা উচিত।
  একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সপ্তাহে 5 দিন এক ঘণ্টা করে হাঁটলে পুরোপুরিভাবে
  সুস্থ থাকবেন। যারা ওজন কমাতে চান তারা প্রতিদিন 40 থেকে 45 মিনিট হাঁটুন।
  স্বাভাবিকভাবে হাঁটলে কিন্তু সেই হাঁটা শরীরের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না এমন ভাবে
  হাঁটতে হবে যেন শরীর থেকে ঘাম বের হয় প্রতিদিন 5 থেকে 6 কিলোমিটার এভাবে হাঁটলে
  শরীর সুস্থ থাকে।
রাতে ব্যায়াম করা কি ভালো - ব্যায়াম করার পর কি করা উচিত
  জার্নাল অফ ফিজিওলজি পত্রিকাতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে সন্ধ্যা
  সাতটার পর যদি কোন ব্যক্তি ব্যায়াম করেন সেক্ষেত্রে তার ঘুমাতে দেরি হতে পারে
  এটি প্রকাশিত হয় 2009 সালে। বিশেষজ্ঞদের মতে রাতের বেলা ব্যায়াম করার পরিবর্তে
  যোগাসন করা উত্তম এতে সারাদিনের স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমে যায় এবং ভালো ঘুম
  হয়।
  দুপুরবেলা সাধারণত পরিবেশ গরম থাকে অল্প ব্যায়াম করলেই ক্লান্তি অনুভব হয় এই
  জন্য এই সময় ব্যায়াম না করাই উত্তম বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। অনেকেই আছেন যারা
  সারাদিন বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে শরীরচর্চা করতে পারেন না তারা রাতে ব্যায়াম
  করেন এতে তেমন কোনো সমস্যা নেই কিন্তু ব্যায়াম করার কারণে শরীর চাঙ্গা হয়ে যায়
  এবং ঘুমাতে দেরি হতে পারে।
  যারা বিভিন্ন সমস্যার কারণে বা চিকিৎসা জটিলতার কারণে ব্যায়াম করতে পারেন না
  তারা দুপুর বেলা হালকা ব্যায়াম বা যোগাসন করতে পারেন এটি ও শরীরের জন্য অনেক
  কার্যকারী হিসেবে প্রমাণিত। সাধারণত ব্যায়াম করার পরে কোন ধরনের খাবার না গ্রহণ
  করাই ভালো এখানে বোঝানো হয়েছে ভারী খাবারের কথা তবে প্রোটিন শেক বা পানি গ্রহণ
  করতে পারেন ব্যায়াম শেষ করার 30 মিনিট পরে ফল বা ফলের জুস গ্রহণ করতে পারেন
  অপরদিকে দুই ঘন্টা পরে হালকা ভাবে কিছু নাস্তা করে নিতে পারেন।
ব্যায়াম করার সঠিক সময় - ঘরে বসে ব্যায়াম
  সন্ধ্যাবেলায় আপনি শরীরচর্চা করতে পারেন কিন্তু শরীরচর্চার পূর্বে একটু
  রিল্যাক্স করে নিতে পারেন যার কারনে আপনার শরীর সহজে ক্লান্ত হবে না শরীরচর্চা
  করার সময়। সন্ধ্যার সময় সবচেয়ে ভালো কাজ হলো যোগাসন করা এছাড়া আপনি যদি
  এক্সারসাইজ করতে চান সে ক্ষেত্রে ট্রেডমিল বা সাইকেলিং করতে পারেন। জিমে গিয়ে
  ব্যায়াম করার অনেকেরই সামর্থ্য থাকে না কিছু ঘরোয়া ব্যায়াম শিখে রাখলে
  স্বাভাবিকভাবেই আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।
  দুই পা প্রথমে একটু ফাক করে দাঁড়াতে হবে দুই হাতে ভারী কিছু তুলতে হবে তারপরে
  পুরো ব্যায়ামের সময় কাঁধের ওপর তুলে রাখতে হবে। চেয়ারে বসার মত করে শরীরকে ভাগ
  করে নিতে হবে এরপরে গোড়ালির ওপর শরীরের ভার দিন এগুলো ঘরোয়া উপায়ের বিশেষ
  ধরনের ব্যায়াম। এছাড়া এক পায়ের উপর ভর দিয়ে অন্য পা ডান দিকে বাম বাম দিকে
  ষাট করে ছড়িয়ে দিন এতে বেশি মজবুত হয়। একইভাবে পায়ের অন্য পা ব্যবহার করেও
  এটি করুন দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই পায়ের পেশি মজবুত হয়ে গেছে।
ব্যায়াম করার কৌশল
  আমরা সকলেই জানি ব্যায়াম শরীরকে ফিট রাখে পাশাপাশি রোগ মুক্ত রাখে আবার কিছু
  ব্যায়াম রয়েছে যা শরীরকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করে থাকে। একজন প্রফেশনাল
  জিম ইনস্ট্রাক্টর বলেন টেস্ট করার জন্য প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট করে এরোবেটিক
  এক্সারসাইজ করতে হবে এতে দেহের বুকের অংশ মজবুত এবং উঁচু হয়ে যাবে। এছাড়া এসকল
  এক্সারসাইজ করার জন্য আপনার শরীরকে সর্বপ্রথম সুস্থ রাখতে হবে নিয়মিত যদি 30
  মিনিট করে আরে বেটি কি এক্সারসাইজ করা যায় তাহলে শরীর আস্তে আস্তে গঠনমূলক হয়ে
  উঠবে।
শেষ কথা,
    আপনারা যদি সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার নিয়ম সম্পর্কে
    জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া আপনার যদি সকালে
    ব্যায়াম করার উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে
    এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা -
    সকালে ব্যায়াম করার নিয়ম সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির
    মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে
    আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
  
 

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url